নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ ফেব্রুয়ারী ৷৷ রাজ্যের শান্তির পরিবেশ নষ্ট করে দিতে রাজ্যভাগের দাবিদারদের উস্কানি দিচ্ছে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস৷ রাজ্যভাগের চক্রান্ত নিয়ে তাদের মৌন অবস্থান এটাই প্রমাণিত করে যে, এই দাবির প্রতি তাদের সম্মতি রয়েছে৷ মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক অমল চক্রবর্তী এভাবেই বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন৷
এদিন তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, আগুন নিয়ে খেলা চলছে৷ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী দল আলাদা রাজ্যের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে৷ অথচ বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস দৃঢ় কন্ঠে এই দাবির বিরোধিতা করছে না৷ অমলবাবুর বক্তব্য, রাজ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে৷ আর তাতে বিজেপি উস্কানি দিচ্ছে৷ এডিসি এলাকা বন্ধের নামে রেল চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল আইপিএফটি৷ অথচ বিজেপি এর বিরোধিতায় কোন বক্তব্য রাখেনি৷ তৃণমূল কংগ্রেসও আইপিএফটি সহ তিন দলীয় ফোরামের অযৌক্তিক বন্ধের বিরোধিতায় কোন বিবৃতি দেয়নি৷ আর তাতেই প্রমাণিত এর পেছনে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সম্মতি রয়েছে, মন্তব্য করেন অমলবাবু৷ এদিন তিনি জানান, ডিওয়াইএফআই এবং টিওয়াইএফ’র পক্ষ থেকে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে যুব আইপিএফটি’র গন্ডাছড়া মহকুমা বন্ধ প্রতিহত করার ডাক দেওয়া হয়েছে৷ সেই লক্ষ্যে সারা রাজ্যে শতাধিক সভা আয়োজিত করা হবে৷ ১৬ ফেব্রুয়ারি সংগঠনের তরফে বন্ধের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানানো হবে৷
এদিন তিনি আমরা বাঙালি দলকেও কটাক্ষ করেন৷ তিনি বলেন, কেউ কেউ ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে৷ একদিকে আইপিএফটি রাজ্যভাগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে অন্যদিকে আমরা বাঙালি উগ্র জাত্যাভিমানি স্লোগান তুলে রাজ্যের শান্তির পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে৷ এসমস্ত বিষয়ের বিরুদ্ধে সংগঠন রুখে দাঁড়াবে এবং রাজ্যবাসীকে সতর্ক ও সচেতন করবে৷
এদিন, সাংবাদিক সম্মেলনে ডিওয়াইএফআই সভাপতি অমললেন্দু দেববর্মা দাবি করেন, ৮ ফেব্রুয়ারি এডিসি এলাকা বন্ধ চলাকালীন তিন দলীয় ফোরামের কর্মী সমর্থকরা রড, বোতল, লাঠি নিয়ে পিকেটিং করেছেন এবং জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বন্ধ পালন করতে বাধ্য করেছেন৷ ঐদিন বন্ধ চলাকালীন পিকেটারদের উশৃঙ্খলাতা প্রতিহত করতে গিয়ে বামফ্রন্টের সমর্থক ও তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে৷ তাতে কয়েকজন আহত হয়েছেন৷ উভয় পক্ষের হাতাহাতিকে ভিত্তি করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি গন্ডাছড়া মহকুমায় ৪৮ ঘন্টার বন্ধ ডেকেছে যুব আইপিএফটি৷ শ্রী দেববর্মার বক্তব্য রাজ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টির চক্রান্ত চলছে৷ একে প্রতিহত করতে সংগঠন সারা রাজ্যজুড়ে সভা ও মিছিল সংগঠিত করবে৷ শতাধিক জায়গায় বিক্ষোভ সভা সংগঠিত করা হবে৷ ১৫ ফেব্রুয়ারি আগরতলায় সিটি সেন্টারের সামনে থেকে পুরাতন মোটরস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল সংগঠিত করা হবে৷ মিছিল শেষে সেখানে সভা সংগঠিত করা হবে৷ তিনি রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়েছেন, রাজ্যভাগের চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক এবং সচেতন হওয়ার জন্য৷