বিএসএফ-জনতার সংঘর্ষে উত্তপ্ত কৈয়াঢেপা, ৩ মহিলা ও ৩ জওয়ানসহ গুরুতর জখম ৯ জন

নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলাসাগর, ১৪ ফেব্রুয়ারী৷৷ আবারও বিএসএফ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ৷ তাতে চারজন গ্রামবাসী ও

মঙ্গলবার কৈয়াঢেপায় বিএসএফ-জনতার সংঘর্ষ হয়৷ ছবি নিজস্ব৷

তিনজন জওয়ান আহত হয়েছেন বলে খবর মিলেছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুর বারোটা নাগাদ দেবীপুরের কৈয়াঢেপা এলাকায়৷ ঘটনাকে কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানো মোতায়েন করা হয়েছে৷ পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছে পুলিশের পদস্থ আধিকারীকরা৷ মূলতঃ গরু পাচারের কথিত অভিযোগের ভিত্তিতেই এই ঘটনার সূত্রপাত৷
সংবাদে প্রকাশ, মঙ্গলবার দুপুরে কৈয়াঢেপার তলতলাস্থিত ক্যাম্পের বিএসএফ জওয়ানরা ঐ এলাকার বাসিন্দা রোস্তম আলি (৫০) এর বাড়িতে যায়৷ জওয়ানরা রোস্তমের কাছে জানতে চায় কয়েকটি পাচারের জন্য রাখা গরুগুলি কোথায় আছে৷ এনিয়ে রোস্তমের সাথে বিএসএফ জওয়ানদের কতা কাটাকাটি হয়৷ হঠাৎই বিএসএফ জওয়ানরা রোস্তমকে মারধর করতে থাকে৷ জওয়ানরা রোস্তমের ঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলে৷ যাবতীয় সামগ্রি তছনছ করে দেয়৷ বিএসএফ জওয়ানদের এই তান্ডবের খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের অন্যান্যরা এগিয়ে আসে৷ পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে মহিলাদের উপরও হামলা চালায় বিএসএফ জওয়ানরা৷ পরিবারের চার মহিলা ও এক শিশুও গুরুতর আহত হয়েছেন৷ তারা হলেন তাহেরা বেগম, ফুলতানা খাতুন, মমতাজ বেগম পায়েল খান ও রুবেল খান৷ সেখানে উপস্থিত গ্রামবাসীরা আহতদের প্রথমে বিশালগড় হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে৷ পরে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাপানিয়াস্থিত টিএমসিতে রেফার করা হয়৷ অন্যদিকে গ্রামবাসীদের হামলায় বিএসএফের তিন জওয়ানও জখম হয়েছে৷ তারা হলেন প্রদীপ মন্ডল, অঞ্জন সিন্হা ও রাজ চৌধুরী৷ তাদেরকেও মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে তাদের জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে৷
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ এসডিপিও সুব্রত দাস, মধুপুর থানার ওসি দেবেন্দ্র রিয়াং সহ বিএসএফের কমান্ডেন্ট ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষুব্ধ জনতার সাথে কথা বলেন৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ৷ এদিকে একটি মামলা নিয়েছে মধুপুর থানার পুলিশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *