৩৫তম আগরতলা বইমেলা ১১ ফেব্রুয়ারী থেকে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ ফেব্রুয়ারি ৷৷ বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য এবারের সলিল কৃষ্ণ দেববর্মণ স্মৃতি

আগরতলা বইমেলা উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী ভানুলাল সাহা৷ নিজস্ব ছবি৷
আগরতলা বইমেলা উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী ভানুলাল সাহা৷ নিজস্ব ছবি৷

পুরস্কার পাচ্ছেন সুতপা দাস৷ কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য কবি সুকান্ত স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন মিহির কান্তি দেব৷ ৩৫তম আগরতলা বইমেলা-২০১৭ উপলক্ষে আজ আগরতলা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী ভানুলাল সাহা একথা জানান৷ সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য, সংসৃকতি মন্ত্রী ভানুলাল সাহা আরও জানান যে, চিত্রাঙ্কণ ও স্থাপত্যে বিশেষ অবদানের জন্য এবার ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ দেববর্মণ স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন সুনীল কৃষ্ণ রায়৷ সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য ঝর্ণা দেববর্মা শচীন দেববর্মণ স্মৃতি পুরস্কার লোক সংসৃকতিতে বিশেষ অবদানের জন্য নিরঞ্জন রায় লালন পুরস্কার ও নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য অতুল রঞ্জন দত্ত ত্রিপুরেশ মজুমদার স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন৷ ককবরক ভাষায় শ্রেষ্ঠ প্রকাশনার জন্য দৌলত আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছে নবচন্দনা প্রকাশণী এবং বাংলা ককবরক ব্যতীত অন্য ভাষায় শ্রেষ্ঠ প্রকাশনার জন্য পুরস্কার পাচ্ছে ত্রিপুরা বাণী প্রকাশনী৷ বইমেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে৷ সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী জানান, ১২ দিন ব্যাপী ৩৫তম আগরতলা বইমেলা-২০১৭’র উদ্বোধন হবে ১১ ফেব্রুয়ারী৷ এদিন বিকেল চারটায় বই মেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক আবুল মেমন৷ বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ভানুলাল সাহা৷ বই মেলায় প্রতিদিনই থাকবে ক্যুইজ প্রতিযোগিতা৷ উদ্বোধনী দিন ও সমাপ্তি দিন ব্যতীত অন্যান্য দিনগুলিতে থাকছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, আলোচনাচক্র, কবি সম্মেলন৷
সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী জানান, বই মেলার দ্বিতীয় দিন আগরতলা পুর নিগমের সহায়তায় শিশু কিশোর দিবস হিসেবে উদযাপিত হবে৷ ১৩ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হবে আলোচনাচক্র৷ এদিন সুধন্বা দেববর্মা স্মরণে ককবরক ভাষা সাহিত্যের বিকাশ নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে আলোনাচক্র৷ তারপর পর্যায়ক্রমে ১৪ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৭ ফেব্রুায়ারী পর্যন্ত গল্পকার নরেন্দ্রনাথ মিত্র শতবর্ষ স্মরণ, কল্পনা দত্ত যোশী শতবর্ষ স্মরণ, অসহিষ্ণুতা ও আজকের সময় এবং বসু বিজ্ঞান মন্দিরের শতবর্ষ এবং বিজ্ঞান ভাবনা নিয়ে আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত হবে৷ ১৮ ফেব্রুয়ারী ও ১৯ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে বহুভাষিক কবি সম্মেলন৷ ২০ ফেব্রুয়ারী ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ দেববর্মণ জন্মশতবর্ষ ঃ ত্রিপুরার চিত্রশিল্প শীর্ষক আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত হবে৷ ২১ ফেব্রুয়ারী উদযাপিত হবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশের সন্ধ্যা৷ অনুষ্ঠানে ককবরক, চাকমা, মণিপুরী, মগ ও বাংলা কবিতার আবৃত্তি পরিবেশিত হবে৷
তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী জানান, এবারের বইমেলায় ১২১টি স্টল থাকছে৷ এরমধ্যে ত্রিপুরার ৭৪টি, কলকাতার ৩৮টি, গুয়াহাটির ৫টি, নয়াদিল্লির ৩টি ও মুম্বাই-র ১টি স্টল থাকছে৷ বই মেলার প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতারা বই বিক্রির উপর ১০ শতাংশ ছাড় দেবে৷ বইমেলা ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিট ও ছুটির দিনে দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *