নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ জানুয়ারী৷৷ নির্জনতার সুযোগে বাড়ির গেইট ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে মূল্যবান জিনিষপত্র নিয়ে
![মঙ্গলবার আগরতলায় এক চোরকে আটক করেন পুলিশ৷ নিজস্ব ছবি৷](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2017/02/Thief-300x200.jpg)
পালিয়ে যায় চোরের দল৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রামনগর রোড নং তিনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷ পুলিশ চুরির মামলা রুজু করলেও চোরর সন্ধান পায়নি৷
সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, রামনগর তিন নং রোডের ঊষাবালা রায়ের বাড়িতে সোমবার রাতে কোন এক সময় চোরেরা হাত সাফাই করেছে৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে মঙ্গলবার সকালে৷ স্থানীয় জনগণ গেইটের তালা ভাঙ্গা দেখতে পেয়ে আঁচ করেন৷ পরে বিষয়টি জানাজানি হয়৷ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ঊষাবালা রায় রামনগর দশ নং রোডে তাঁর মেয়ে সীমা রায়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন চার-পাঁচ দিন আগে৷ সেখানেই তিনি অবস্থান করছিলেন৷ এদিন সকালে চুরির ঘটনার খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে আসেন৷ দেখতে পান ঘরের শোকেস সহ আলমাড়ির তালা ভাঙ্গা৷ মূল্যবান সামগ্রী ও কিছু টাকা চোরেরা নিয়ে গিয়েছে৷ এই ব্যাপারে রামনগর ফাঁড়ির পুলিশকে জানানো হয়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাবতীয় তথ্য অনুসন্ধান করে নিয়ে গিয়েছে৷ রাতে খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ চোরের কোন হদিশ পায়নি৷ এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ প্রসঙ্গত, রামনগর এলাকায় প্রায়শই চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে৷ অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ থেকে এপাড়ে এসে কিছু যুবক সন্দেহজনক ভাবে৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে ওপাড়ের ঐ সন্দিগ্দ যুবকরাই চুরির ঘটনা সংঘটিত করছে৷
এদিকে, রাজধানী আগরতলা শহরের মঠচৌমুহনী এক নং রোড এলাকায় এক ডাক্তারের বাড়িতে হাত সাফাই করতে গিয়ে ধরা পড়ল কুখ্যাত চোর৷ তার নাম চন্দন দেবনাথ৷ বাড়ি আড়ালিয়ার ঘোষপাড়া এলাকায়৷ জানা গিয়েছে, চন্দন বিভিন্ন চুরির ঘটনার সাথে যুক্ত৷ বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে৷ মঙ্গলবার সকালে মঠচৌমুহনী এলাকায় ডাঃ শর্বানী গোস্বামী ভৌমিকের বাড়িতে যায় চন্দন৷ ঘরের ভেতরে ঢুকে হাত সাফাই করছিল সে৷ একটি দামি মোবইল সেট হাতিয়ে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসার সময় গৃহস্বামী নিতেশ ভৌমিক চন্দনকে দেখে ফেলেন এবং আটক করে চিৎকার দেন৷ সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে চন্দন দেবনাথকে গণধোলাই দেয়৷ তারপর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে চন্দনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে৷ তার বিরুদ্ধে আগরতলা পূর্ব থানায় একটি মামলা করা হয়েছে৷ মামলা হয় আইপিসির ৪৪৮, ৩৮০, ৪৪১ ধারা অনুযায়ী৷