গত বছরের তুলনায় আর্থিক অগ্রগতি কমেছে, সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করে জানালেন জেটলি

jetleyনয়াদিল্লি, ৩১ জানুয়ারি৷৷ গত বছরের থেকে এবার আর্থিক অগ্রগতি কমেছে৷ গত বছর যেখানে আর্থিক অগ্রগতি ছিল ৭৬শতাংশ সেখানে এবার হয়েছে ৬৫ শতাংশ৷ বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ভাষণের পর আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ সমীক্ষায় চলতি অর্থবর্ষ ২০১৬-১৭ -তে ৬৫ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির হারের পুর্বাভাস দেওয়া হয়েছে৷ গত অর্থবর্ষে এই হার ছিল ৭৬ শতাংশ৷ তবে ২০১৭ -১৮ তে আর্থিক বৃদ্ধির হার ঘুরে দাঁড়াবে এবং তা ৬৭৫ থেকে ৭৫ শতাংশ হতে পারে বলে উল্লেখ করে আরও বেশি সংস্কারে জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷ এ মাসের প্রথমে মোট অভ্যন্তরীণ উপাদনের হার ৭১ শতাংশ হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দপ্তর (সিএসও)৷ প্রকৃত পরিসংখ্যান যে তাকেও স্পর্শ করতে পারেনি, তা সমীক্ষা থেকেই স্পষ্ট৷ সমীক্ষায় ভারতের আর্থিক অগ্রগতিকে কয়েকটি বিষয় ব্যাঘাত তৈরি করতে পারে বলে মন্তব্যে করা হয়েছে৷ সম্পত্তির অধিকারের নীতি সম্পর্কে দোদূল্যমানতা এবং জরুরি পরিষেবা প্রদান ও পুনর্বন্টনের মতো বিষয়ে সরকারি খামতি-র মতো বাধার বিষয়গুলি সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে৷ সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গত অর্থবর্ষ ২০১৫-১৬ -র তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ বেড়ে হবে ৪১ শতাংশ৷ সমীক্ষা রিপোর্ট শ্রম ও কর নীতির সংস্কারের সুপারিশে করা হয়েছে৷ বস্ত্র ও চর্ম শিল্পের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় সফল হতে গেলে এই সংস্কার প্রয়োজনীয় বলে জানানো হয়েছে৷
এই নিয়ে পরপর তৃতীয় অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতির হারের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে বলেও সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা ও জ্বালানি তেলের দাম কম থাকার কারণে আর্থিকভাবে লাভ হয়েছে বলেও সমীক্ষায় জানানো হয়েছে৷
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, নোট বাতিলের সাময়িক ক্ষতি হতে পারে৷ কিন্তু আগামীদিনে এর লাভ অনেক বেশি হবে৷ সেই সঙ্গে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) থেকে যে আর্থিক সুবিধা হবে তা বাস্তবে পেতে কিছুটা সময় লাগবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সমীক্ষা রিপোর্টে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *