BRAKING NEWS

শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প

trump-portrait-ওয়াশিংটন, ২৮ জানুয়ারি (হি.স.) : সন্ত্রাসবাদী হামলা থেকে দেশকে রক্ষা করতে বহুল আলোচিত শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প|এর ফলে সিরিয়া ও আরও ছটি মুসলিম অধু্যষিত দেশের পর‌্যটকদের আমেরিকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ হল | গতকাল এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়| হোয়াইট হাউজ়ের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৯০ দিন এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে| সিরিয়া ছাড়াও বাকি ৬টি দেশ হল ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন|
পেন্টাগনে গতকাল ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হবে| আমরা চাই না সন্ত্রাসবাদীরা দেশে প্রবেশ করুক| তারপরেই তিনি আমেরিকার অবস্থান করে স্পষ্ট করে সংযোজন করেন, যারা আমাদের দেশকে সমর্থন করে, দেশের মানুষকে ভালোবাসে একমাত্র তাদের আমরা আমেরিকায় প্রবেশ করতে দেব|
গতবছর নির্বাচনী প্রচারের সময়ই ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুসলিম প্রধান কয়েকটি দেশ থেকে শরণার্থীদের বেশে যেভাবে জঙ্গিরা মার্কিন মুলুকে প্রবেশ করছে, সেটা রুখতে তিনি তত্পর| আর ক্ষমতায় আসার পর সেটারই বাস্তবায়ন করলেন তিনি| তবে তিনি সিরিয়ার খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি বিশেষ নরম মনোভাব নিয়েছেন| তাঁদের দিকে মার্কিন প্রশাসনকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন, কারণ সিরিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলা গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত| সেখান থেকে উদ্বাস্তু হিসেবে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন বহু সিরিয়াবাসী খ্রীষ্টান| তাঁদের এদেশে প্রবেশ অবাধ করতে সবরকমের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প|
যদিও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছে সমাজকর্মী ও সামাজিক অধিকার রক্ষা কমিটিগুলি| আসতে শুরু করেছে প্রতিক্রিয়াও| তাদের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন প্রেসিডেন্ট| শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকার সুনাম ছিল| তা আর অক্ষত রইল না|
এদিকে, ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরে পরেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে অনেকের মধ্যে| আমেরিকান আরব অ্যান্টি ডিসক্রিমেনিশেন কমিটির আধিকারিক এ আয়োব জানিয়েছেন, যে সব আরব আমেরিকানরা তাদের পরিবারের সদস্যদের এদেশে বেড়াতে নিয়ে এসেছে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে| এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে অপর এক সংস্থা| আমেরিকায় বসবাসকারী শরণার্থীদের নিয়ে কর্মরত জেমস মেইরস নামে এক কর্মীর কথায়, প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে শরণার্থীদের মধ্যে|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *