BRAKING NEWS

বি.এড.-এর জাল সার্টিফিকেটে টেট দিয়ে চাকুরী বাগালেন বহু

EDUCATIONনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ জানুয়ারী৷৷ জালিয়াতি সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে৷ কিন্তু সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, চাকুরী পাওয়ার জন্য বেকাররা এখন জালিয়াতির পথ অবলম্বন করতে শুরু করেছে৷ জাল বিএড সার্টিফিকেট জমা দিয়ে শিক্ষক চাকুরী হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ সম্প্রীতি টেট উত্তীর্ণ যারা শিক্ষক পদে চাকুরীতে যোগ দিয়েছেন তাদের মধ্যে ১২ জনের বিএড সার্টিফিকেট জাল৷ ২ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে এই সার্টিফিকেট যোগার করেছেন তারা৷ সূত্রের খবর, এসজিটি এবং এসপিজিটি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে তাতে অনেক প্রার্থী জাল বিএড সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন৷

সূত্রের দাবি, এই খবর টিআরবিটি’র (টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ড, ত্রিপুরা) গোচরে এসেছে৷ আর তাতেই শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ৷ সূত্র অনুসারে জানা গেছে, আগরতলায় আরএমএস চৌমুহনীস্থিত একটি এডুকেশন্যাল সোসাইটি সমস্ত জাল সার্টিফিকেট পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে৷ এখন পর্যন্ত যারা টেট উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষক পদে চাকুরীতে যোগ দিয়েছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন বিএড কোর্স পশ্চিমবঙ্গের স্বামী বিবেকানন্দ কলেজ থেকে করেছেন৷ কিন্তু এসজিটি এবং এসপিজিটি পরীক্ষা যারা দিয়েছেন তাদের অধিকাংশই ঐ কলেজ থেকে কোর্স করা সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন বলে সূত্র অনুসারে জানা গেছে৷ সূত্রের খবর, রেগুলার কোর্স না করেই টাকার বিনিময়ে মিলেছে সার্টিফিকেট৷

টিআরবিটি সূত্রে খবর, টেট উত্তীর্ণ ১২ জন যারা শিক্ষক পদে চাকুরী যোগ দিয়েছেন তাদের বিএড সার্টিফিকেট পুণরায় ভেরিফিকেশনের জন্য পাঠানো হবে৷ রেগুলার কোর্স করে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে কিনা সে তথ্যও কলেজের কাছে চাওয়া হবে৷ টিআরবিটি’র এক শীর্ষ আধিকারীক জানিয়েছেন, বিএড সার্টিফিকেট পরীক্ষায় বসার আগেই ভেরিফিকেশন করা হয়েছে৷ তা সত্বেও বিষয়টি কিভাবে সবার নজর এড়িয়ে গেছে সেটাই এখন ভাবাচ্ছে৷ তাঁর বক্তব্য, এসজিটি এবং এসপিজিটি সমস্ত পরীক্ষার্থীর বিএড সার্টিফিকেট পুণরায় ভেরিফিকেশন করা হবে৷ তাতে কিছুটা সময় লাগতে পারে৷ কিন্তু জাল সার্টিফিকেটধারী কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না৷ তাদের খুজে বের করা হবেই৷

তাতে প্রশ্ণ উঠেছে, রেগুলার কোর্সের বদলে দূরশিক্ষার মাধ্যমে কেউ যদি বিএড কোর্স করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ এনসিইআরটি নয়া নির্দেশিকা মোতাবেক দূরশিক্ষায় বিএড সার্টিফিকেট কেবলমাত্র আন্ডার গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক নিয়োগে গ্রহণযোগ্য৷ গ্র্যাজুয়েট এবং পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক নিয়োগে দূরশিক্ষায় বিএড সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য নয়৷
এখন ধারণা করা হচ্ছে, শিক্ষক পদে চাকুরী পাওয়ার ক্ষেত্রে যে জালিয়াতির পথ অবলম্বন করা হয়েছে এবং তা ক্রমাগত চলছে পুরো তদন্ত হলে এর সাথে আরো অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে৷ এই জাল সার্টিফিকেট বন্দোবস্ত করে দেওয়ার ক্ষেত্রে বহু মানুষ জড়িত আছেন সেই তথ্যও বেরিয়ে আসবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *