নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ২ জানুয়ারি৷৷ শিক্ষক হচ্ছেন সমাজের মানুষ তৈরির কারিগর, আর পাঠশালা হচ্ছে শিক্ষার্থীর মন্দির৷ এখানেই পঠনপাঠনের জন্য পিতামাতা তাদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠান৷ শিক্ষকদের গাফিলতির ফলে অনেক ছাত্রছাত্রীর জীবন অকালে ঝড়ে যায়৷ সে কারণে অভিভাবক অভিভাবিকা তাদের আচার আচরণ নিয়ে ক্ষোভ এবার অভিযোগের তীর উমেশচন্দ্র এস বি সুকলের শিক্ষক দেবাশিষ ভৌমিকের বিরুদ্ধে৷ তিনি একজন বড় মাপের ব্যবসায়ী সরকারি চাকুরি বলে কতা মর্জিমাফিক সুকল কামাই, সময়ের প্রতি নেই কোন নজর৷ যখন খুশি বিদ্যালয়ে আসেন৷ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কিছু বলতে গেলেই বিপদ৷ শিক্ষক দেবাশিষ ভৌমিক পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষক এবং সপ্তম শ্রেণীরও৷ বিগত টানা সাতদিন ধরে বিদ্যালয়ে গড়হাজির৷ এমনিতে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা ৩০ শে ডিসেম্বর হবে বলে ছাত্রছাত্রীদেরকে জানিয়ে দিয়েছে৷ কিন্তু দেবাশিষ ভৌমিক দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে পরীক্ষার খাতা পত্র নিয়ে বাড়িতে মহারাজ সেজে বসে আছেন৷ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক উত্তম সরকার, রেজাল্ট দেবার জন্য উনার বাড়িতে ছুটে গিয়েছেন, পরীক্ষার খাতাপত্রের মার্কসিটের অবস্থা জানতে৷ এ বিষয়ে কোন কর্ণপাতও করেননি৷ যার ফলে ৩০ ডিসেম্বর সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞানের মার্ক ছাড়াই ফলাফল ঘোষণা করতে বাধ্য হয়৷ রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম কোন বিদ্যালয় একটি বিষয় বাদ দিয়ে রেজাল্ট ঘোষণা করেন৷ সে বিদ্যালয়ের নাম হল উমেশ চন্দ্র উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়৷ বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক, উনি হচ্ছেন ফাঁকিবাজি শিক্ষকদের বাঁচার জন্য ওঠে পড়ে লেগে থাকে৷ দেবাশিষ ভৌমিকের গাফিলতির খবর যাতে কোন মতেই অভিভাবক মহল জানতে না পারে, তার জন্যই শিক্ষক নকুল দাস, অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন উনার অসুস্থ সেই কারণে সম্পূর্ণ ফলাফল ঘোষণা করতে পারেনি৷ সংবাদ সূত্রে জানতে পারি যে কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন৷ এনিয়ে অভিভাবক ও অভিভাবিকা মহলে৷ এমনকি বিদ্যালয়ের এস এম সি কমিটির সদস্য/সদস্যাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে৷ তাহলে অভিভাবক মহলে প্রশ্ণ উঠছে শরীর খারাপ হলে বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্টের পরের দিন কিভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন গুণধর শিক্ষক দেবাশিষ ভৌমিক৷ উক্ত বিষয়টি যাতে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর গুরুত্ব দেয় তার জন্য প্রশাসনিক ভাবে তদন্তের প্রয়োজন বলে বুুদ্ধিজীবী মহলের ধারণা৷
2017-01-03

