নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ৯ জুন৷৷ তুলাশিখর ব্লকের অধীন পশ্চিম রাজনগরস্থিত একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল সুকল থেকে পালাল ২২ জন ছাত্রী৷ ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য গোটা এলাকাজুড়ে৷ নানারকম অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও শহর থেকে দূরে অবস্থিত হওয়ায় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের আনাগোনা কম৷ তাই একের পর এক ঘটনা ঘটে গেলেও তা চাপা পড়ে যাচ্ছে৷ যদিও সুকলের ধারে কাছে ভিড়তে দেওয়া হয় না কোন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের৷
এদিকে বৃহস্পতিবার খোয়াই একলব্য সুকলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীরা সুকল থেকে পালাল৷ এদিন বেলা ২টা নাগাদ একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল সুকল থেকে ২২ জন ছাত্রী পালিয়ে যাবার ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷ মুহূর্তেই খবর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে৷ শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ৷ স্থানীয় গ্রামবাসীরাই সুকল কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়৷ একবার, দুবার নয় এনিয়ে টানা তিনবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগের ছায়া পরিলক্ষিত হচ্ছে৷ কেন এক সুকলের ছাত্রীরা এভাবে সুকল থেকে পালানোর মত কাজ করছে? প্রশ্ণ উঠছে স্বাভাবিকভাবেই৷
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ সুকল থেকে পলাতক ২২ জন ছাত্রীকেই খোয়াই চেবরী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়৷ এমন চাঞ্চল্যকর ঘঠনার কিনারা করা প্রায় সম্ভবই হচ্ছিল কিন্তু সুকল কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতায় তা আর সম্ভব হয়নি৷ সুকল পলাতক ছাত্রীরা গোটা ঘটনায় আলোকপাত করতে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হতে চাইলেও সুকল কর্তৃপক্ষ কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তা সম্ভবপর হয়ে উঠতে দেয়নি৷ বরং মিডিয়া কর্মীদের সেখানে পৌঁছাবার আগেই সুকলের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন হোস্টেল সুপার প্রভা সরকার৷ তিনি মিডিয়া কর্মীদের সুকলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে বাধা দেন৷ শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনায় কেঁচো খঁুড়তে সাপ বেরিয়ে যাবার ভয়ে সুকলের প্রিন্সিপাল লিটন দেব হোস্টেল সুপার প্রভা সরকারের মোবাইলে ফোন করে গালিগালাজ করেন৷ গোটা ঘটনায় যে বিরাট কোন কিছু চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে তাতে আর কোন সন্দেহের অবকাশ থাকছে না৷ প্রশ্ণ উঠচে তাহলে মিডিয়ার সামনে কি বলতে চাইছিল ছাত্রীরা৷ কেনই বা তালা বন্দী অবস্থার মধ্যে থেকেও বারবার মিডিয়া কর্মীদের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে মিডিয়াকে পালানোর মতো উদ্যোগ নিতে বাধ্য হল? তারা কি তবে সুরক্ষিত? সুরক্ষার অভাব বোধই কি সুকল থেকে পালানোর কারণ? তবে আশ্চর্যজন্যক ঘটনা হল এত বড় ঘটনার পরও পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়নি৷ এনিয়ে জনমনে ক্ষোভ ধুমায়িত হচ্ছে৷
2016-06-10

