BRAKING NEWS

কংগ্রেসের বিদ্রোহীরা তৃণমূলে যোগ দিলে স্বাগত, জানালেন রতন ও সুরজিৎ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ মে৷৷ গণতন্ত্রে লাজলজ্জার কোন স্থান নেই৷ রাজ্যে রাজনীতির নয়া মেরুকরণে বামেদের

শুক্রবার আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে সুরজিৎ দত্ত ও রতন চক্রবর্তী৷ নিজস্ব ছবি৷
শুক্রবার আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে সুরজিৎ দত্ত ও রতন চক্রবর্তী৷ নিজস্ব ছবি৷

মোকাবেলায় ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি গঠনে সকলের প্রতি এভাবেই তৃণমূলের ছাতার তলায় আসার ডাক দিলেন দলের প্রদেশ চেয়ারম্যান রতন চক্রবর্তী৷ রাজনীতির জাত চেনাতে গিয়ে এদিন তিনি বামবিরোধী শক্তি মজবুত করার লক্ষ্যে কংগ্রেস, বিজেপি এমনকি উপজাতি ভিত্তিক আঞ্চলিক দলগুলিকেও একসাথে হওয়ার ডাক দিয়েছেন৷ শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ণ উঠেছিল কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়করা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার খবর প্রসঙ্গে৷ এনিয়ে, কোন রাখঢাক না করেই শ্রী চক্রবর্তী স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাদের তরফে এখনো কোন প্রস্তাব আসেনি৷ তবে, তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিতে চাইলে তাঁদেরকে সাদরে স্বাগত জানানো হবে৷
অবশ্য এর পেছনে শ্রী চক্রবর্তীর যুক্তি, রাজ্যে দীর্ঘ বাম শাসনের অবসানে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি মজবুত করতে গণতন্ত্রে লাজলজ্জার [vsw id=”OOkQcMezOLA” source=”youtube” width=”425″ height=”344″ autoplay=”yes”]কোন স্থান নেই৷ কেউ কংগ্রেস করতে পারেন, বা বিজেপি কিংবা উপজাতি আঞ্চলিক দলের কর্মী হতে পারেন৷ তারা যদি প্রকৃত বামবিরোধী আন্দোলনে নিজেদের সামিল করতে চান তাহলে তাদের অবশ্যই তৃণমূলে স্বাগত জানানো হবে৷ তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে৷ ফলে, কংগ্রেসে থেকে বামেদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সম্ভব নয়৷ এক সময় তিনিও কংগ্রেস কর্মী ছিলেন, কংগ্রেসী হিসেবেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন৷ কিন্তু আজ যেখানে রাজ্যে কংগ্রেস জাতীয় আঙ্গিনায় সিপিএমের দোসর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের ছাদের তলায় থেকে বামেদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম দীর্ঘায়িত করা সম্ভব নয়৷ এই প্রসঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গে বামেদের সাথে কংগ্রেসের সমঝোতার বিষয়টি তুলে ধরেন৷ তিনি দাবি করে বলেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি সত্যই বলেছিলেন কংগ্রেস মূলত সিপিএমের বি টিম৷ আজ যা পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয়েছে৷ তবে, নীতি আদর্শে কংগ্রেস এবং সিপিএম উভয় দলই দিশাহীন বলে তিনি মন্তব্য করেন৷ তাঁর যুক্তি, পশ্চিমবঙ্গে বুদ্ধদেব-সূর্যকান্ত মিশ্র’রা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস নেতাদের সাথে মঞ্চ ভাগাভাগি করছেন৷ আবার কেরেলাতে গণধর্ষণের ঘটনায় সিপিএম সাংসদ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সংসদে সরব হচ্ছেন৷ দুই রাজ্যে দুই নীতি, এজন্যই হয়ত মানিক সরকার সিপিএমকে ছাগলের তিন নম্বর বাচচার সাথে তুলনা করা যথেষ্ট প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন৷
এদিন তিনি, ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম শাসনে বহু কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন৷ ত্রিপুরাতেও বামেদের রোষানলে কংগ্রেসীরা পড়েছেন৷ অথচ শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস দলের ঐতিহ্য ধুলোয় মিশিয়ে বঙ্গের দলীয় নেতারা নিজেদেরকে সিপিএমের পায়ে জলাঞ্জলি দিয়েছেন৷ তাঁর দাবি, যারা প্রকৃত অর্থে কংগ্রেস করেন তারা কখনোই এই সিদ্ধান্তকে মেনে নেবেন না৷ ফলে, পশ্চিমবঙ্গে পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসছে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন৷ সে মোতাবেক আগামী ২০ মে রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের বিরোধিতায় সারা রাজ্যে প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করার ডাক দিয়েছেন তিনি৷ ব্লক, মহকুমা স্তরে এবং আগরতলায় মিছিল সংগঠিত করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷ আগরতলায় ঐদিন বেলা ২টায় মিছিল সংগঠিত করা হবে৷ মূলত, রাজ্যে দুর্নীতি, চাকুরি নিয়ে স্বজনপোষণ, নারী নির্যাতন এসমস্ত ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার কারণে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷
তবে, আগামী ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনকে মূল লক্ষ্য ধরে বাম বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি একত্রিত হওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷ দীর্ঘ নিরবতার পর তৃণমূলের রাজ্য চেয়ারম্যান সুরজিৎ দত্তকে পাশে বসিয়ে আজ সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *