কৈলাসহর, ৯ মে: কৈলাসহর মহকুমা শাসক অফিস সংলগ্ন এলাকায় রাতের অন্ধকারে দোকানে আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। কৈলাসহর পুর পরিষদ এলাকায় একের পর এক দোকানে চুরির পর রাতের অন্ধকারে দোকান আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গোটা শহর জুড়ে তীব্র আতংক বিরাজ করছে। পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
ঊনকোটি জেলার জেলাসদর কৈলাসহরের খোদ মহকুমা শাসকের অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত জয়রাম ভ্যারাইটিজ ও কম্পিউটার সেন্টার নামক এক দোকানে রাতের আধারে দুষ্কৃতকারীদের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় গোটা দোকান।
বুধবার রাত আনুমানিক ২টা নাগাদ কে বা কারা দোকানের তালা ভেঙে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। কারন চুরির উদ্দেশ্যে কেউ দোকানের তালা ভাঙলে হয়তো দোকানে থাকা বিভিন্ন জিনিষপত্র চুরি করে নিতো। কিন্তু তালা ভেঙে দোকানের কোনো জিনিষ না নিয়ে শুধুমাত্র দোকানে আগুন লাগিয়ে ক্ষতি সাধন করেছে দোকানি সুচরিতা চক্রবর্তীর। বর্তমানে যে জায়গায় সুচরিতা দেবীর দোকান সেটি পুর পরিষদ থেকে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া নিয়েই দোকানদারী করে আসছিলেন তিনি। দোকানের পরিধি ছোট হওয়ায় ৯ই মে অন্য একটি দোকান ভাড়া নিয়ে বড় পরিসরে দোকান খোলার পরিকল্পনা ছিল সুচরিতা দেবীর। আর সেই খবর চাউর হতেই বুধবার রাত আনুমানিক ২ টা নাগাদ পরিকল্পিতভাবে উনার দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয় কিছু দুষ্কৃতকারী।
দোকানে থাকা দুটো ফ্রিজ,কালার প্রিন্টার, লেপটপ, কম্পিউটার সহ অন্যান্য জিনিষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই আগুন লাগানোর ফলে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন সুচরিতা চক্রবর্তী। কৈলাসহর পুর পরিষদ এলাকার চার নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা সুচরিতা চক্রবর্তী দীর্ঘ দিন ধরে ডাকবাংলা সংলগ্ন এলাকার পেছনেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। একা মহিলা হয়েও নিজের সংসার নিজেই রোজগার করে চালালেও কখনো হাত পাতেননি কারোর কাছে। এই অবস্থায় একা জীবন সংগ্রামের সাথে লড়াই করা এই মহিলার এত বড় ক্ষতি কে করলো তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বর্তমানে সুচরিতা দেবী কৈলাসহর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও গোটা বিষয়টি মহকুমা শাসককেও লিখিত আকারে জানাবেন বলে জানা যায়। তবে শহরের প্রাণ কেন্দ্রে মহকুমা শাসক ও অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের অফিসের একদম কাছাকাছি এলাকায় এই ধরনের অগ্নিকান্ড নিয়ে শহর জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।