বিলোনীয়ায় অল্পেতে প্রাণে বাঁচলেন তিন জন, রক্ষা পায়নি গবাদী পশু, কাঠগড়ায় বিদ্যুৎ নিগম

death electric shockনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ এপ্রিল৷৷ বিদ্যুৎ দপ্তর এবং নিপকো নিয়োজিত ঠিকেদার ও ইঞ্জিনিয়ারের গাফিলতিতে তড়িতাহত হয়ে প্রাণ গেল এক দুগ্দবতী গাভীর৷ সাথে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও আহত হল একই পরিবারের তিনজন৷ সকলকে বিলোনিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ আহতরা হল জন্টু চৌধুরী, তার মা হাস্যবালা চৌধুরী এবং ভাই প্রদীপ চৌধুরী৷ ঘটনা বিলোনিয়া থানাধীন মনুর মুখের মধ্যপাড়া এলাকায়৷ এই এলাকা দিয়ে নিপকোর তত্বাবধানে বৈদ্যুতিক তার টানার কাজ চলছে৷ কাজের বরাত পেয়েছেন বিলোনিয়ার ঠিকেদার অসীম দাশগুপ্ত৷ অজ্ঞতা এবং অপদার্থতার জন্য বসতবাড়ির উপর দিয়ে তার টানা হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, পোস্ট থেকে একটি অ্যালুমিনিয়াম তার দিয়ে টানা দিয়েছে জন্টু চৌধুরীর গরু ঘরের সাথে৷ গতকাল সন্ধ্যায় এই টানা লাইনে বিদ্যুৎ চালু করে দেয়৷ আর এতেই ঘটে বিপত্তি৷ টানা তারে বিদ্যুৎ চালু হয়ে গরু ঘরটি শর্ট হয়ে যায়৷ রাত ১১টা নাগাদ জন্টু চৌধুরী গরু ঘরে বাঁধতে নিয়ে যাওয়ার সময় তারের সাথে লেগে যাওয়াতেই মারা যায় গরু, যার বাজারমূল্য ৬০ হাজার টাকা হবে৷ ধরতে গিয়ে এক একে তিন জনই তড়িতাহত হয়৷ সাথে সাথে তারা থানায় আসেন৷ পরে থানা থেকে পুলিশ সহ বিলোনিয়া বিদ্যুৎ অফিসে গেলে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করা বা জানানোর জন্য কাউকে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ৷ অথচ সে অফিসে লাইট আর ফ্যান চলছিল৷
এরকম বিদ্যুৎ বিভাগের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাতে কেউ থাকে না৷ যদি রাতে কোন বিদ্যুৎজনিত দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে লাইন কাটা কিংবা ইঞ্জিনিয়ারদের খবর দেওয়ার মত কেউই থাকে না৷ আর এটা স্বীকার করলেন বিলোনিয়া বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার ভাস্করবাবু৷ সারারাত লাইন থাকার পর দিনের বেলা ১২টায় সংযোগ ছিন্ন করা হয়৷ গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত তিনি৷ বাম সরকারের গাফিলতির কারণে বিদ্যুৎ এর মত গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে রাতে লোক থাকে না৷ এদিকে আবার দপ্তরের সকলেই স্বঘোষিত নেতা কমরেড৷ তাই কেউ কাউকে কিছু বলতে পারে না৷ এনিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে এই বিষয়ে মামলা হয়নি৷ বিদ্যুৎ দপ্তরের এহেন গাফিলতিতে আগামীদিনে বিদ্যুতের ছোবলে মানুষের প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *