নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ এপ্রিল৷৷ অক্ষয় তৃতীয়া হল চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি৷ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি তিথি হল অক্ষয় তৃতীয়া৷ অক্ষয় শব্দের অর্থ হল, যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না৷ বৈদিক বিশ্বাসানুসারে এই পবিত্র তিথিতে কোনও শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে৷ যদি ভাল কাজ করা হয় তার জন্য লাভ হয় অক্ষয় পূণ্য৷
যদি খারাপ কাজ করা হয় তবে অক্ষয় পাপের বোঝা বয়ে বেড়াতে হয়৷ তাই শাস্ত্রের নির্দেশ, এ দিনের প্রতিটি কাজ খুব সাবধানে করা উচিত৷ কোনও খারাপ কাজ, কোনও কটু কথা যেন মুখ থেকে না বের হয়৷ কোনও কারণে যেন কারও ক্ষতি না হয়৷ পূজা, ধ্যান, দান বা অন্যকে আনন্দ দেওয়া উচিত৷ যেহেতু এই তৃতীয়ার সব কাজ অক্ষয় থাকে তাই প্রতিটি পদক্ষেপ করতে হয় সতর্ক ভাবে৷ ব্যবসায়ীদের গণেশ পুজো বা নতুন খাতা৷
বাঙালি ব্যবসায়ীদের একটি অংশ অক্ষয় তৃতীয়াকে বেছে নিলেন পয়লা বৈশাখের বিকল্প হিসাবে৷ ক্রমশ সেই বিকল্প তিথি পেয়ে গেল আরও এক বাণিজ্যিক উৎসব মরসুমের তকমা৷ দোকানে হালখাতার উৎসবের পাশাপাশি ক্রেতাদের নানা রকম উপহার, অলঙ্কার ব্যবসায় নানা ‘অফার’, ছাড়৷ কিন্তু এই বছর করোনার কারণে চলছে লক ডাউন৷ আর লক ডাউনে আরোপ করা হয়েছে বিশেষ বিধি নিষেধ৷ বন্ধ মন্দিরের দরজা৷ তাই এবারের অক্ষয় তৃতীয়া পালন একটু ভিন্ন আঙ্গিকে৷ সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে মন্দিরের বাইরে পুজো দিয়ে হাল খাতার যাত্রা করা৷ রাজধানীর লক্ষ্মিনারায়ণ বাড়ির সামনে এই দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়৷ ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পূজা করা হয়৷ একই সঙ্গে জগন্নাথের স্নান যাত্রা শুরু হয়৷ দিনটি ভাল৷ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত নিয়ম মেনে এই অক্ষয় তৃতীয়ার কাজ সম্পন্ন হচ্ছে বলে জানান এক পুরোহিত৷