নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ এপ্রিল৷৷ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ এপ্রিল, ২০২০ থেকে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন শুরু হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু স্পষ্টিকরণ দেওয়া হয়েছে৷ এতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ত্রিপুরায় কোনও ’হটস্পট’ নেই৷ তাই লকডাউন সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আদেশ তিনটি ’কন্টেইনমেন্ট জোন’ ছাড়া সমগ্র ত্রিপুরায় প্রযোজ্য হবে৷
এই কন্টেইনমেন্ট জোনগুলি হচ্ছে গোমতী জেলার গোকুলপুর যেখানে করোনা রোগীটি ছিলো তার চারপাশে ১ কিমি এলাকা এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলার দামছড়া ও সাতনালা এলাকা৷ রাজ্য সরকার স্পষ্টিকরণ দিয়ে বলেছে যে, স্বাবলম্বী ও স্ব-উদ্যোগী কর্মীদের পরিষেবা চালু করা যাবে৷ উদাহরণস্বরূপ নাপিত, ধোপা, মুচি, কামার, বাড়ির পরিচারক / পরিচারিকা, কুমোর তাদের দোকান ও স্থানীয় কারখানা চালু করতে পারবেন৷ এছাড়া যন্ত্রপাতি মেরামতির দোকান, কারখানা ইত্যাদিও চালু করা যাবে৷
শিল্প উদ্যোগের মধ্যে জল সরবরাহ ও স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত প্রকল্প, পরিবহণ লাইন পাতা, অপটিক্যাল ফাইবার ও ক্যাবল বসানোর কাজ ইত্যাদি অন্তর্ভক্ত থাকবে৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মধ্যে থাকবে খাদ্য ও পানীয়, স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় পণ্য, ফল ও সব্জি, দুগ্দ জাতীয় দ্রব্য, পোল্টি, মাংস ও মাছ৷ প্রাণী ও মাছের খাদ্য ইত্যাদি এর অন্তর্ভক্ত হবে৷ তাছাড়া শিল্প ও নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত কাঁচামাল যেমন সিমেন্ট, রড, রঙ, পাথর ইত্যাদির ব্যবসা এবং গ্রামীণ ও শহর এলাকার শিল্পে ব্যবহৃত সামগ্রীর পাইকারি বিক্রি, মোটর পার্টস, বৈদ্যতিক সামগ্রী, ইটভা-া ও চা বাগানে ব্যবহৃত কয়লা ও অন্যান্য জালানি সংগ্রহ, ক’ষি / উদ্যানচাষ, ফুল চাষের উৎপাদন, বীজ / সার ও যন্ত্রপাতির ব্যবসা, পরিষেবা ইত্যাদিরও অনুমতি রয়েছে৷
এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা লকডাউন সম্পর্কিত নীতি নির্দেশিকা অনুযায়ী পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে কি কি করা যাবে সে বিষয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে কিছু স্পষ্টিকরণ দেওয়া হয়েছে৷ এতে বলা হয়েছে যে, ২০ এপ্রিল, ২০২০ থেকে সড়ক নির্মাণ, সেচ প্রকল্প, বিল্ডিং ও শিল্প প্রকল্পের নির্মাণ কাজ (ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ সহ) গ্রামীণ এলাকায় অর্থাৎ পুর এলাকার বাইরে এবং শিল্প নগরীতে সমস্ত ধরনের প্রকল্পের কাজ চালু করা যাবে৷ তেমনি পুর এলাকার অর্ধ সমাপ্ত প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু করা যাবে যদি কাজের ক্ষেত্রেই শ্রমিক পাওয়া যায় (এবং বাইরে থেকে শ্রমিক আনতে না হয়) এবং পুনর্নবীকরণ শক্তি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ও সমস্ত ধরণের মাল পরিবহণ, একজন সহকারী ও লাইসেন্সধারী দু’জন চালক সম্পন্ন ট্রাকে মাল পরিবহণ এবং মাল নামানোর পর খালি ট্রাকের চলাচলে অনুমোদন রয়েছে৷ তবে অবশ্যই অফিস, কারখানা, দোকান ইত্যাদি সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে চলতে হবে৷