চড়াইদেও (অসম), ২৩ এপ্রিল (হি.স.) : বুধবার রাতে উজান অসমের চড়াইদেও জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আলফা (স্বাধীন)-র পাঁচ সক্রিয় সদস্য ধরা পড়েছে। তাদের হেফাজত থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। ধৃতদের যথাক্রমে অপূর্ব গগৈ ওরফে আরোহণ অসম, সীমান্ত গগৈ ওরফে মাইনা, বিরাজ অসম ওরফে যোগেন গগৈ, লক্ষজিৎ গগৈ ওরফে ধ্রুব অসম এবং সিদ্ধার্থ গগৈ ওরফে চিন্ময় অসম।
অসম-অরুণাচল-নাগাল্যান্ড সীমান্তের সাপেখাতি পুলিশ থানার অন্তর্গত সতিয়নাগুড়ি অঞ্চলের টাইগার গ্রামের বাসিন্দা ভূবন গগৈয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল আলফা স্বাধীনের পাঁচ সদস্যের এই দল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে গতরাতে হানা দিয়ে তাদের আটক করেছে যৌথবাহিনী। অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন চড়াইদেওয়ের পুলিশ সুপার আনন্দ মিশ্র এবং সাপেখাতি সেনাছাউনির কমাডেন্ট ।
বৃহস্পতিবার এই তথ্য দিয়ে পুলিশ সুপার লক্ষজিৎ মিশ্র জানান, আলফা স্বাধীনের এই দলকে যখন আটক করা হয়েছিল তখন তাদের কাছে কোনও অস্ত্রশস্ত্র ছিল না। পরে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তারা যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল সেখান থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূর থেকে অস্ত্রগুলি উদ্ধার করা হয়। অস্ত্রশস্ত্রগুলো মাটির নীচে পুঁতে রাখা ছিল। উদ্ধারকৃত অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে তিনটি এমকিউ ৮১ অ্যাসল্ট রাইফেল, আটটি এমকিউ ৮১ ম্যাগাজিন, ৩২৩টি এমকিউ ৮১ অ্যামিউনেশন, রাশিয়ায় নিৰ্মিত একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল ও ম্যাগাজিন, একটি পয়েন্ট (.) ২২ এমএম পিস্তল, দুটো ০.২২ এমএম অ্যামিউনেশন, দুটো ৭.৬৫২ এমএম অ্যামিউনেশন, প্ৰায় দুই কেজি জিলেটিন, তিন মিটারের সাত টুকরো করডেক্স, ডিটোনেটরস এবং আলফা স্বাধীনের পোশাক। এছাড়া আরও অন্যান্য কিছু আপত্তিকর সামগ্ৰীও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আলফা স্বাধীনের সক্ৰিয় সদস্য আরোহণ অসম ও মাইনা অসম পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মিশ্র। এই দুজনের মধ্যে মাইনা নাকি আইইডি বিশেষজ্ঞ। শিবসাগর এবং চড়াইদেও জেলায় ইতিপূর্বে সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধজনিত কাজের সঙ্গে এই দুজনের হাত রয়েছে, দাবি পুলিশ সুপারের। ২০১২ সাল থেকে পুলিশ এদের হন্যে হয়ে খুঁজছিল।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার লক্ষজিৎ মিশ্র বলেন, পাঁচ এই আলফা স্বাধীনের সক্রিয় সদস্যকে যে ব্যক্তি আশ্রয় দিয়েছে সেই ভূবন গগৈয়ের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শীর্ষস্তরের এই দলটি পুলিশের জালে পড়ায় আলফা স্বাধীন অনেক দূর্বল হয়ে পড়বে বলেও দাবি করেছেন পুলিশ সুপার।