সাদামাটাভাবে গড়িয়া পুজা আগরতলায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ এপ্রিল ৷৷ সাত বৈশাখ বিশেষত রাজ্যের উপজাতি অংশের মানুষের আরাধ্যা দেবতা বাবা গড়িয়ার পূজা৷ রাজ্যের সর্বত্রই অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ভক্তিভরে বাবা গড়িয়ার পুজো হচ্ছে৷
রাজধানী আগরতলা শহরের উত্তর বনমালীপুর ইয়ং কর্নার ক্লাবেও ৫২তম বাবা গড়িয়া পূজা অনুষ্ঠিত হয়৷ বাবা গড়িয়া উপজাতিদের ইষ্টদেবতা৷ গড়িয়া পূজা ও উৎসব উপজাতিদের প্রধান উৎসব হিসেবে পরিগণিত হয়৷ প্রতিবছরই রাজ্যে গড়িয়া পুজার উৎসবের ঢল নামে৷ গড়িয়া পূজা উপজাতিদের প্রধান উৎসব হলেও মিশ্রবসতি এই রাজ্যের অউপজাতি অংশের মানুষজনও গড়িয়া পুজার আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন৷ এবছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত কারণে লকডাউন চলতে থাকায় এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে গড়িয়া পূজাটি৷ উপজাতিদের ঘরে ঘরে বাবা গড়িয়া পূজিত হন৷

এবছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি৷ কিন্তু পুজোকে কেন্দ্র করে কোন উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়নি৷ রাজধানী আগরতলা শহরে সার্বজনীনভাবে এই পুজোর আয়োজন করা হয় প্রতিবছর৷ কিন্তু এবছর পুজোর আনন্দ উল্লাস পুরোপুরি ম্লান হয়ে গেছে৷ আগরতলা শহরের উত্তর বনমালীপুরের ইয়ং কর্নার ক্লাব প্রতিবছরই গড়িয়া পূজা ও উৎসবকে কেন্দ্র করে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে৷ কিন্তু এবছর পুজো করলেও তাতে কোন জাকজমকতা নেই৷ এর মূল কারণ হল ভয়ঙ্কর করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে লকডাউন ঘোষণা করায় পুজো করা হচ্ছে সংক্ষিপ্ত আকারে৷ ইয়ংস কর্নার ক্লাবের সম্পাদক ভাস্কর সাহা জানান, এবছর তাদের ক্লাবে ৫২তম গড়িয়া পূজা হচ্ছে৷

অন্যান্য বছর মুখ্যমন্ত্রী কিংবা অন্য কোন ভিআইপি আনুষ্টানিক উদ্বোধন করতেন৷ পূজা উপলক্ষ্যে মেলা এবং সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান করা হতো৷ পূজা প্রাঙ্গণে মানুষের ঢল নামতো৷ কিন্তু এবছর সরকারি নিয়মকানুন মেনে বাবা গড়িয়া পুজার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে৷ পুজো মণ্ডপের গেইটে লোকজনকে আটকে দেওয়া হয়েছে৷ সেখান থেকেই তাদের দেওয়া ডিম সহ প্রসাদ তুলে দেওয়া হবে৷ ভাস্করবাবু আরও বলেন, এবারের পুজো বাবা গড়িয়ার কাছে সকলে মিলে প্রার্থনা করা হচ্ছে ভয়ঙ্কর মহামারির হাত থেকে বাবা গড়িয়া যেন আমাদের রক্ষা করেন৷ গড়িয়া উপজাতিদের প্রধান পূজা ও উৎসব হওয়ায় করোনা আতঙ্ক উপেক্ষা করেও উপজাতি অংশের মানুষ বাবা গড়িয়ার আরাধনা করছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *