BRAKING NEWS

লকডাউন : কুর্তিতে জনতা-পুলিশ খন্ডযুদ্ধআহত কনস্টেবল, গ্রেপ্তার এক হামলাকারী

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ৫ এপ্রিল৷৷ চক্রান্তের গন্ধ আসছে৷ সংকটকালীন সময়ে রাজনৈতিক রুটি সেকার উদ্দেশ্য কাদের? গ্রামের সাধারণ মানুষকে কারা ভুল বুঝাচ্ছে? এ প্রশ্ণগুলো উঠে আসছে শনিবারের ঘটনায়৷পুলিশ ও জনতার খণ্ডযুদ্ধে আহত এক পুলিশ কর্মী৷ লকডাউন মানা চলবেনা, বাড়িতে না থেকে রাস্তায় আমরা বেরোবো, এই মনোভাব নিয়ে আসাম-ত্রিপুরা সীমান্তের কুর্তি রাজনগর গ্রামে সংখ্যালঘুরা পুলিশের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে৷ সমস্ত দেশের লোকজনদের রক্ষার্থে দেশে লকডাউন শুরু হতেই উত্তর ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসন এবং জেলাশাসক আসাম-ত্রিপুরার প্রধান সড়কসহ অলিগলি রাস্তাগুলো সিল করে দেয়৷ শুধুমাত্র ৮ নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক দিয়ে পন্যবাহী লড়ি ও জরুরী কালীন যানবাহন গুলি করার তল্লাশি ও নজরদারির মাধ্যমে রাজ্যে প্রবেশ করছে৷


এদিকে গতকাল উত্তর জেলার কদমতলা থানাধীন কুর্তিতে একশ জন টিএসআর জোয়ান নিরাপত্তার’’ কাছে আনা হয়৷ আসাম ত্রিপুরা সীমান্তে কড়া নজরদারিতে যেন মস্তকে আকাশ ভেঙ্গে পড়ে রাজনগরবাসীর৷ যথারীতি কুর্তি এলাকাতে পুলিশ ও টিএসআর বাহিনীর পাহারা চলে৷আজও একইভাবে সীমান্তের ওই এলাকাগুলিতে চরম টহলদারি দেয় প্রশাসন৷ যাতে করে আসামের কোন মানুষ ত্রিপুরাতে প্রবেশ করতে না পারে৷ কিন্তু সেখানে আসামের মানুষ ক্ষুব্দ না হয়ে উল্টো ত্রিপুরা রাজ্যের কুর্তি মধ্য রাজনগর গ্রামের মানুষরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন কদমতলা পুলিশের বিরুদ্ধে৷ আজ সেখানে কদমতলা পুলিশ ও টিএসআর জওয়ানরা ডিউটি করা অবস্থায় স্থানীয় ঊশৃংখল যুবক পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে৷ তাতে সঙ্গে সঙ্গেই কদমতলা থানার কনস্টেবল আস্কর আলী(৩৬) (পিতা আনফর আলি বাড়ি দঃকদমতলা পঞ্চায়েতের ১নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা) আহত হয়৷ সেখান থেকে তাকে কদমতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়৷ বর্তমানে সে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন৷ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং এলাকায় মোতায়েন করা হয় শতাধিক টিএসআর জওয়ান৷


সেই বিষয়ে কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার জানান, রাতের অন্ধকারে ঢিল ছোড়া দুষৃকতীদের শনাক্ত করা যায়নি৷ তবে মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷ সেই ঘটনায় কারা যুক্ত তা বেরিয়ে আসবে৷ তবে প্রশ্ণ হচ্ছে পুলিশ যখন করুণা ভাইরাসকে উপেক্ষা করে দিনরাত এক করে কাজ করছে সাধারণ মানুষের জন্য তখন যদি সাধারণ মানুষের কাছ থেকেই ইট,পাটকেল খেতে হয় তাহলে কিসের ভিত্তিতে ওরা ডিউটি করবে৷ অপরদিকে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাল মাঝ রাতে কদমতলা থানার পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে৷তার নাম রাজিবুল আলম (২৩) সে দক্ষিণ কদমতলা বাসিন্দা হলেও বর্তমানে সে কুর্তি মধ্য রাজনগরে থাকে৷ আক্রান্ত পুলিশ কর্মী জানান কে বা কারা মেরেছে তা দেখেন নি রাতের অন্ধকারে ইট দিয়ে ঢিল ছোড়া হয়েছে৷ গ্রামের প্রধানের বাড়িতে আক্রমণের নাকি পরিকল্পনাও হয়েছিল৷ শতাধিক লোক লাঠি নিয়ে রেডি ছিল৷

অপরদিকে গ্রাম প্রধান সুব্রত শব্দকর জানান, এই সংকটক কালে গ্রামবাসীদের উসকে দিয়ে নগ্ণ রাজনীতির চেষ্টা হচ্ছে৷ দা লাঠি নিয়ে মানুষ ঘর থেকে বেরিয়েছে,পুলিশকর্মী আক্রান্ত হয়েছে এটা ভালো লক্ষণ নয়৷ সকলের প্রতি শান্তি বজায় রেখে লকডাউন পালনের কথা বলেন গ্রাম প্রধান সুব্রত শব্দকর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *