বাইরে থেকে আগতদের দ্রুত চিহ্ণিত করা হচ্ছে, বাড়ছে কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা, জানালেন স্বাস্থ্য সচিব

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ মার্চ৷৷ অনেকেই বহিঃরাজ্য, এমন-কি বিদেশ থেকে ত্রিপুরায় এসেছেন৷ তাঁদের প্রশাসন কিংবা স্থানীয় জনগণ চিহ্ণিত করছেন৷ তাই, কোয়ারেন্টাইনে সন্দেহজনক করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন৷ সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি করেন স্বাস্থ্যসচিব ডা. দেবাশিস বসু৷ সাথে অভয় দিয়ে বলেন, ত্রিপুরায় এখনও কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি৷


এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল ৭,৬১৪ জনকে৷ তাঁদের মধ্যে ৯৭৬ জন পর্যবেক্ষণের ১৪ দিন সময় অতিক্রান্ত করেছেন৷ বাকি ৬৯ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে এবং ৬,৫৬৯ জন বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন৷ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নজরদারিতে থাকা সন্দেহজনক আক্রান্তদের মধ্যে ৩৬ জন বিদেশ থেকে এসেছেন৷ তাঁর দাবি, এখন পর্যন্ত ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ অবশ্য, এখনই করোনা ভাইরাস নিয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনও সুযোগ নেই, তা স্বাস্থ্যসচিবের বক্তব্যে অনেকটাই স্পষ্ট৷


তাঁর কথায়, সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর থেকে অনেকেই বহিঃরাজ্য, এমন-কি বিদেশ থেকে ত্রিপুরায় এসেছেন৷ পরিবহণ ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার পরও এসেছেন৷ তাঁদের এখন চিহ্ণিত করা হচ্ছে৷ এ-বিষয়ে স্টেট কন্েন্টাল রুমের জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটর সুভাশিস দাস বলেন, ত্রিপুরার মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন৷ বহিঃরাজ্য কিংবা বিদেশ থেকে এসেছেন, এমন মানুষদের চিহ্ণিত করে প্রশাসনের নজরে নিচ্ছেন৷ এমন-কি তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে কবে নেওয়া হবে কিংবা কেন নেওয়া হচ্ছে না, মানুষ এমনও চাপ দিচ্ছেন প্রশাসনকে৷ ফলে, প্রতিদিন নতুন নতুন সন্দেহজনক আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে৷


উদাহরণ তুলে ধরে স্বাস্থ্যসচিব বলেন, আমবাসায় একটি বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনের নোটিশ লাগানো ছিল৷ গৃহকর্তা ওই নোটিশটি ছিড়ে ফেলেন৷ তখন স্থানীয় জনগণ বিষয়টি প্রশাসনের নজরে নেন এবং ওই বাড়িতে পুনরায় কোয়ারেন্টাইনের লেভেল লাগানো হয়েছে৷ স্বাস্থ্যসচিবের মতে, কোয়ারেন্টাইনে সন্দেহজনক করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে তাতে বিপদ ভয়ংকর না নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক৷ কারণ, দ্রুত চিহ্ণিত হলেই অন্য কেউ সংক্রমিত হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যাবেন৷
তিনি বলেন, আইসিএমআর-এর কাছে আরও ৫০০টি টেস্টিং কিট চাওয়া হয়েছে৷ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ তাছাড়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী গত তিনদিনে জরুরিভিত্তিতে আনা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *