নয়াদিল্লি, ৩০ মার্চ (হি.স.) : টোকিও অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন দীপা কর্মকার। হাঁটুর চোটে কাবু ভারতের এই জিমন্যাস্ট যথাসময়ে শুরু হলে অংশগ্রহণই করতে পারতেন না টোকিও অলিম্পিকে। পিছিয়ে যাওয়ায় আগামী বছর অলিম্পিকে অংশগ্রহণের ব্যাপারে আশায় বুক বাঁধছেন রিও অলিম্পিকের চতুর্থ স্থানাধিকারিনী।
দীপা নিজেও বলছেন সে কথা। দীপার কথায়, ‘আমি হাতে আরও কিছুটা সময় পেলাম সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য এবং দু’টি ইভেন্টে অংশগ্রহণের প্রস্তুতির জন্য।’ সেরাটা দিয়ে অলিম্পিকের টিকিট ছিনিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও দীপাও কিন্তু করোনায় রীতিমতো আতঙ্কিত। তাঁর কথায়, ‘করোনা ভাইরাসকে হারানোই এখন প্রাথমিক লক্ষ্য।’
এদিকে তাঁর কোচ ‘দ্রোণাচার্য’ বিশ্বেশ্বর নন্দী বলছেন, ‘দীপা এখন একদম ফিট। চোট সারিয়ে ও সম্পূর্ণ সুস্থ। কিন্তু জিমন্যাস্টিকে চোট সারিয়ে অনুশীলন শুরু করার প্রক্রিয়াটা খুব ধীরে করতে হয়। দীপা গত মাসে করোনা উদ্বেগের মধ্যেই ওর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছে। পুরনো ছন্দে ফিরতে দীপার ৩-৪ মাস লাগবে বলে মত কোচের। তাই অলিম্পিক যোগ্যতার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই গ্রহণ করছে দীপা, মত বিশ্বেশ্বরবাবুর।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি, আইপিসি, টোকিও অলিম্পিক আয়োজক কমিটি এবং টোকিও মেট্রোপলিটন গর্ভমেন্ট সোমবার ২০২০ অলিম্পিক ও প্যার অলিম্পিকের নতুন তারিখ ঘোষণা করে৷ ২০২০-র পরিবর্তে টোকিও অলিম্পিক হবে ২০২১৷ আগামী বছর টোকিও অলিম্পিক শুরু হবে জুলাইয়ের ২৩ তরিখ৷ আর শেষ হবে ৮ আগস্ট৷