নয়াদিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ১৪টি বিরোধী দল। মঙ্গলবার সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে রাইসিনা হিলসে গিয়ে বিরোধী নেতারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সরকার এই আইন প্রত্যাহার করুক। নাহলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ জায়গায় যাচ্ছে। পাশাপাশি দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর মধ্যযুগীয় বর্বরতায় পুলিশি নিগ্রহ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা | এদিন তাঁরা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন |
এদিন রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী । তিনি এদিন বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। উত্তর-পূর্ব থেকে তা দেশের বাকি অংশেও ছড়িয়ে পড়ছে। রাজধানী দিল্লিও বাদ যায়নি। তাই রাষ্ট্রপতিকে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছি আমরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জামিয়ার ঘটনাও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলেছি ওঁকে। সেখানে মেয়েদের হস্টেলে পুলিশ ঢুকে গিয়েছে। প্রতিবাদ সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিন্দনীয়।’’ জোর করে প্রতিবাদী মানুষের মুখ বন্ধ করা হচ্ছে, তাঁদের প্রতি মোদী সরকারের কোনও সহানুভূতি নেই বলেও অভিযোগ করেন সনিয়া।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেছি, অবিলম্বে যাতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তুলে নিতে তিনি সরকারকে নির্দেশ দেন।’’ ডেরেক আরও বলেন, “যে ভাবে আইন পাশ করানো হয়েছে তাতে আমাদের দেশের সংবিধানের মৌলিক জায়গাতেই আঘাত করা হয়েছে।”
রাজ্যে তৃণমূলের বিরোধিতা করলেও সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ডেরেকের পাশেই দেখা গেল সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে। তিনিও বলেন, “রাষ্ট্রপতিকে আমরা আমজনতার ক্ষোভের কথা বলেছি। আমরা আশা করবে দেশের সাংবিধানিক প্রধান সরকারের সঙ্গে কথা বলে একটা কিছু করবেন।