উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে বিজেপি যুদ্ধ ঘোষণা করছে স্ক্যামের বিরুদ্ধে ঃ মোদী

narendra-modiমীরাট, ৪ ফেব্রুয়ারি (হিঃসঃ)৷৷ উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেস সপা জোটকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে চলছে স্ক্যাম-এর রাজত্ব৷ আর এই নির্বাচনে বিজেপি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে স্ক্যাম-এর বিরুদ্ধে৷ স্ক্যাম-এর অর্থ সমাজবাদী, কংগ্রেস, অখিলেশ ও মায়াবতী৷ শনিবার মেরঠে দলের এক সভা থেকে কংগ্রেস সপা জোটকেও নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নোট বাতিলের পর কর্ণাটকে কংগ্রেস মন্ত্রীর বাড়ি থেকে দেড়শো কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে৷ এরা আবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলে৷ অখিলেশ সরকারকে ৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে মোদী বলেন, ওই টাকা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর জন্য দেওয়া হলেও রাজ্যের স্বাস্থ্যে পরিষেবা কেমন তা রাজ্যবাসীই জানেন৷ আইন শৃঙ্খলার কথা তুলে মোদী বলেন, মেরঠে মানুষ ঘর থেকে বের হলে তিনি আর ফিরবেন কিনা তার কোনও নিশ্চয়তা নেই৷ জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য যদি তাঁরা এই স্ক্যাম-কে দূর করতে না পারেন, উত্তরপ্রদেশে আছে দিন আসবে না৷ স্ক্যাম-এর সদস্যরা রাজ্যবাসীর পাশে দাঁড়াতে চায় না, তারা চায় শুধু নিজেদের গদি বাঁচাতে৷ ঘন্টাখানেকের ভাষণে মোদী দাবি করেছেন, উত্তরপ্রদেশে গরিবির বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে চান তিনি, যে শাসক সম্প্রদায় রাজ্যের উন্নয়নের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাদের উখাত করতে চান৷ পাশাপাশি, সার্জিক্যাল ট্রাইকের প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ মোদী মন্তব্য করেন, দুনিয়াজুড়ে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসংশা করা হচ্ছে৷ কিন্তু আমাদের দেশে এমন কিছু লোক রয়েছেন যারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বিশ্বাযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ণ তুলছেন৷ এইসব লোকদের ক্ষমতায় আনা উচিত নয়৷ ওইসব লোকদের দুঃখ হল সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে ভারতের কোনও সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়নি৷ এর জন্যই ওরা স্ট্রাইকের কথা বিশ্বাস করতে পারছেন না৷ দেশের নিরাপত্তা নিয়েও এরা রাজনীতি করেন৷ এদের কি ক্ষমতায় আনবেন, ভেবে দেখুন একবার৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, মীরাটের পবিত্র ভূমি থেকে সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল৷ সে সময় যুদ্ধ ব্রিটিশের বিরুদ্ধে৷ তিনিও এই মীরাট থেকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলেন৷ তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরপ্রদেশকে দুহাত ভরে দিতে চায় কিন্তু রাজ্য সরকার কেন্দ্রের উন্নয়নের পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ক্ষমতাসীন সমাজবাদী পার্টিকে আক্রমণ করে তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বজন
পোষণের জেরে শুধু খুনি ও গুন্ডাদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে এ রাজ্যে৷ ক্ষমতায় এলে আখচাষীদের যাবতীয় পাওনা ১৪ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *