নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ জানুয়ারি৷৷ মঙ্গলবার রাজধানী আগরতলার মোটর স্যান্ড শনিতলা এলাকায় একটি ওষুধের
![মঙ্গলবার রাজধানী আগরতলা শহরের মঠচৌমুহনীতে একটি ওষুধের দোকানে হানা দিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে বিস্তর পরিমাণে নেশা সামগ্রী৷ ছবি নিজস্ব৷](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2017/02/Phensydil-300x201.jpg)
দোকান থেকে প্রচুর পরিমান নেশা জাতীয় সামগ্রী বাজেয়াপ্তা করেছে পূর্ব থানার পুলিশ৷ গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক কর্মচারীকে৷ গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে পুলিশ আজ দুপুর ১২৩০ নাগাদ এ এস পি শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী এবং পূর্ব থানার ওসি প্রণব দেবনাথের নেতৃত্বে এক পুলিশ বাহিনী হানা দেয় আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশে প্রতিষ্ঠিত ওষুদের দোকান সাহা মেডিকেল-এ৷ আচমকা দোকানটি ঘিরে ফেলে পুলিশ৷ তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর নেশা সামগ্রী বাজেয়াপ্তা করে পুলিশ৷ পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে দোকানের মালিককে পাওয়া যায়নি৷ দোকানের কর্মচারীকে জিজ্ঞেসবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তার নাম সুনীল পাল৷ অন্যদিকে পুলিশের অভিযান চালানোর সময় দোকান থেকে পালিয়ে যায় অপর এক কর্মী গনেশ তাঁতি৷ পাশাপাশি দোকান টিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে এ এস পি শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী জানান৷ যদিও বাজেয়াপ্তা নেশা সামগ্রীর আর্থিক মূল্য সম্পর্কে পুলিশ এখনো বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি৷
উদ্ধার করা নেশা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ফেন্সিডিল ও ট্যাবলেট৷ সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে রাজধানী আগরতলা শহরের বহু ওষুধের দোকানে ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে নেশা সামগ্রী৷ এই বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানে না তা মেনে নেয়া অনেকটাই সন্দেহের৷ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আধিকারীকদের মাসোহারা দিয়ে এই নেশার টেবলেট ও অন্যান্য নেশা সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে৷ এই বিষয়ে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের তরফ থেকেও তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না৷
এদিকে, প্রতিদিন চুড়াইবাড়ি বিক্রয় কর দপ্তরের কর্মীদের ম্যানেজ করে কোটি কোটি টাকার ফেন্সিডিল সহ অন্যান্য নেশা সামগ্রী রাজ্যে আনা হচ্ছে৷ আর এই নেশা সামগ্রী বিভিন্ন ওষুধের দোকানে সরবরাহ করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি শহরের বহু দোকানেও এই সব নেশা সামগ্রী সহজলভ্য হয়ে গিয়েছে৷ এই নেশার বিরুদ্ধে পুলিশের তেমন কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নজরে আসেনা৷ থানাবাবুদের হাতে মাসান্তে নগদ নারায়ণ গুঁজে দিয়ে নির্দ্ধিধায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে৷ যখন নেশার কারবারীদের সাথে পুলিশের সখ্যতায় ফাটল ধরে তখনই পুলিশ এই ধরনের অভিযান চালায়৷ তবে শহরে ওষুধের দোকানে অভিযান বিরল৷