দেহরাদূন, ২৩ মার্চ (হি.স.): উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন পুষ্কর সিং ধামি। বুধবার দুপুরে দেহরাদূনের প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ধামি। পুষ্করকে দেবভূমির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন রাজ্যপাল লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) গুরমিত সিং। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ বিজেপির একঝাঁক হেভিওয়েট। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি, উত্তর প্রদেশের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, গোয়ার ভাবী মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া প্রমুখ বিজেপি নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও, জিততে হবে পুষ্করকে। কারণ এবারের বিধানসভা নির্বাচনে খাতিমা আসন থেকে তিনি হেরে গিয়েছেন।
এদিন পুষ্কর সিং ধামি ছাড়াও ৮ জন বিজেপি বিধায়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এই ৮ জন হলেন-সতপাল মহারাজ, ধ্যান সিং রাওয়াত, সুবোধ উনিয়াল, প্রেমচাঁদ আগরওয়াল, রেখা আর্য, গণেশ জোশি, চন্দন রাম দাস ও সৌরভ বহুগুণা। এদিন শপথ নেওয়ার পর পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, “আগামীকাল, ২৪ মার্চ আমাদের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে…আসন্ন দশক হবে উত্তরাখণ্ডের, এবং আমরা তা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা আমাদের রাজ্যের উন্নয়নে আজ থেকেই কাজ শুরু করব।”
উল্লেখ্য, ২০ বছর আগে উত্তরাখণ্ডের জন্ম হওয়ার পর থেকে দেবভূমি কখনওই এক দলে আস্থা রাখেনি। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ক্ষমতার হাত বদল হয়েছে। কিন্তু এ বার তা হয়নি। পরপর দু’বার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ৭০টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ৪৭টি আসনে। অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল শুধুমাত্র খাতিমা আসনের ফল নিয়ে, সেখানেই পরাজিত হন পুষ্কর। তবে বিজেপি-র পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী বাছা নিয়ে সমস্যাও ছিল উত্তরাখণ্ডে। কারণ, গত পাঁচ বছরে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী বদলাতে হয় রাজ্যে। শেষ বারে দায়িত্ব দেওয়া হয় পুষ্করকে। আদতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) থেকে আসা ৪৬ বছরের পুষ্কর আগে উত্তর প্রদেশে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নেতা ছিলেন। পরে উত্তরাখণ্ডে বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি হন। ২০২১ সালের জুলাইয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। তখন এক বছরও সময় নেই বিধানসভা নির্বাচনের। ভোটে হারলেও পুষ্করের ওপরই ভরসা রেখেছে বিজেপি। বুধবার শপথ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে।