মুম্বই, ১১ অক্টোবর (হি.স.): বনধের ভালোই প্রভাব লক্ষ্য করা গেল মহারাষ্ট্রে। সোমবার সকাল থেকেই শুনশান ছিল বাণিজ্যনগরী। রাস্তায় নামেনি বাস, বন্ধ ছিল অধিকাংশ দোকান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। মহারাষ্ট্র বনধের ফলে এদিন মুম্বই থেকে পুণে, নাসিক থেকে নাগপুর-মহারাষ্ট্রের সর্বত্রই ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। মুম্বইয়ে এদিন সরকারি বাস রাস্তায় নামেনি, ফলে সপ্তাহের প্রথম দিন অফিসে পৌঁছতে অনেকেরই দেরি হয়েছে। মুম্বইয়ে রবিবার মধ্যরাত থেকে সোমবার সকাল আটটার মধ্যে আটটি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। বনধের সমর্থনে এদিন বন্ধ ছিল পুণের এএমপিসি মার্কেট। মার্কেট প্রশাসক মধুকান্ত গারাদ জানিয়েছেন, “ব্যবসায়ীরা বনধকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই আগেই কৃষকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।” ঔরঙ্গাবাদ শহর এদিন একেবারেই শুনশান ছিল। শুনশান ছিল নাসিক ও নাগপুর। মহারাষ্ট্রের থানে শহরও এদিন ছিল জনশুন্য।
উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে ৪ কৃষকের মৃত্যু ও হিংসার প্রতিবাদে সোমবার মহারাষ্ট্র বনধের ডাক দিয়েছে মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকার। কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনার ডাকা এই বনধের ভালোই প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলায়। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা নবাব মালিক বলেছেন, “লখিমপুর খেরির ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা মহারাষ্ট্র বনধকে সমর্থন করেছে বামেরা এবং কয়েকটি অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও ট্রেড ইউনিয়ন। মহারাষ্ট্রে শান্তিপূর্ণভাবেই বনধে সমর্থন মিলেছে।” তিনি আরও জানান, “কিছু স্থানে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা সামনে এসেছে, এটা ঠিক নয়….এমন ধরনের কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়া উচিত নয় কারও। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রও ইস্তফার দাবি জানাচ্ছি আমরা।