আগরতলা, ৩০ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : মেরুদন্ডে জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্যের মুখ দেখল ত্রিপুরা। অষ্টাদশী জনৈক নাবালিকার মেরুদন্ডে টিউমার বের করে এনেছেন নিউরো সার্জন ডা: সিদ্ধা রেড্ডি। আগরতলায় জি বি পি হাসপাতালে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচারের পর মৌসমী বর্মণ সুস্থ আছেন। খুশিতে আত্মহারা তাঁর পিতা-মাতা। পাশাপাশি ত্রিপুরায় জটিল অস্ত্রোপচারে সফলতা অর্জনে চিকিত্সক মহল ভীষণ আনন্দিত। সবচেয়ে তাত্পর্যের বিষয় হল, বহিরাজ্যে ওই জটিল অস্ত্রোপচারে রোগীর পরিবারকে প্রচুর আর্থিক বোঝা গুনতে হতো। কিন্ত, ত্রিপুরায় ওই অস্ত্রোপচারে রোগীর পরিবার সর্বসান্ত হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেছেন।
প্রায় ১ বছর পূর্বে মৌসুমীর মেরুদন্ডে অসম্ভব ব্যথা অনুভূত হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিত্সার জন্য তাঁকে শিলচর নেওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার সম্ভব নয় বলে দেন চিকিত্সকরা। বরং, দিল্লি গিয়ে চিকিত্সা করার পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁদের। কিন্ত, দিল্লি নিয়ে গিয়ে চিকিত্সা আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল ওই পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিল না। ডা: সিদ্ধা রেড্ডি জানিয়েছেন, মৌসুমীর মেরুদন্ডে টিউমার বিরল ছিল। তার কোমরের দিকে কিডনির ঠিক নিচে ডা: রেড্ডি টিউমার খোজে পান। তিনি জানান, দিল্লিতে ওই টিউমারের অস্ত্রোপচারের খরচ অনেকটাই ব্যয় সাপেক্ষ, তাই তাঁরা ত্রিপুরায় বিনা চিকিত্সায় দিল্লি থেকে ফিরে এসেছিলেন।
এদিন ডা: রেড্ডি বলেন, মৌসুমীর পরিবার জি বি হাসপাতালে মেয়ের অস্ত্রোপচারে সম্মতি দেওয়ায় আজ তাঁকে আমরা সম্পুর্ন সুস্থ দেখতে পাচ্ছি। তিনি বলেন, মৌসুমীর মেরুদন্ডে টিউমার ৩০০ গ্রাম ওজনের ছিল এবং দৈর্ঘ ছিল ১১ সেন্টিমিটার। ডা: রেড্ডির কথায়, গুরুতর নন এমন নিউরো সংক্রান্ত রোগীর চিকিত্সায় জি বি হাসপাতালের সাফল্যের হার দিল্লি এইমস-র সমতুল্য।