নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১৬ সেপ্ঢেম্বর৷৷ নিজ ঘরে ফাঁসি লেগে আত্মহত্যা বছর পঁচিশের এক যুবক৷মৃত যুবকের নাম মুজাকির হুসেন চৌধুরী৷ঘটনা চুরাইবাড়ি থানাধীন বাঘন এলাকায়৷ চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়৷পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ,উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি থানাধীন বাঘন গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী দীর্ঘ কয়েক বছর পূর্বে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে মারা যান৷তারমধ্যে দুই মেয়ে বিবাহ সূত্রে স্বামীর ঘরে জীবনযাপন করছে৷এক ছেলে মুজাকির হুসেন চৌধুরী একাই নিজ বাড়িতে থাকতো৷সম্প্রতি মুজাকির ডিএলএড পরিক্ষা দিয়েছে৷ আগামীতে টেট পরীক্ষায় বসার পরিকল্পনা রয়েছে তার৷মুজাকির একাকিত্বের মাঝেও বেশ গুছিয়ে তার সংসার চালিয়ে যাচ্ছে৷ প্রতিদিনের ন্যায় আজ দুপুর নাগাদ মুজাকির বাড়ির পাশের একটি মসজিদে নামাজ পড়ে তারপর দুপুর তিনটে নাগাদ নিজ ঘরে চলে আসে৷ কিন্তু মুজাকির ঘরে ফিরে আসলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পরও তার নড়াচড়া না পেয়ে মুজাকিরের চাচাতো ভাই আতিকুল ইসলাম চৌধুরী তাকে খুঁজতে আসে৷বাড়িতে এসে দেখতে পায় মুজাকিরের ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা৷
তখন তার চাচাতো ভাই তাকে ডাকাডাকি করলে কোন সারা শব্দ দেয়নি মুজাকির৷ এমতাবস্থায় আতিকুল চিৎকার চেঁচামেচি করলে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন৷ লোকজন এসে ঘরের দরজা ভেঙে দেখতে পান মুজাকির নিজ ঘরে দড়ি দিয়ে ফাঁসি লেগে আত্মহত্যা করেছ৷ তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় চুরাইবাড়ি থানায়৷চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কদমতলা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়৷সাথে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে৷ এদিকে মুজাকিরের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ৷তবে বছর পঁচিশের এক তরতাজা যুবক ফাঁসি লেগে আত্মহত্যা করায় গোটা বাঘন এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷