আগরতলা, ১৪ অক্টোবর:বর্তমানে দেশের যুবসমাজ চরম বেকারত্বের শিকার হয়ে দিশেহারা। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই কর্মসংস্থানের সুযোগ ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে। ফলস্বরূপ, বহু যুবক জীবিকার তাগিদে পরিযায়ী শ্রমিক, গিগ ওয়ার্ক বা এমনকি বেআইনি ও অনৈতিক পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। এই জ্বলন্ত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ অর্গানাইজেশন আজ আগরতলায় এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
এদিনের সভায় সংগঠনের এক নেতৃত্ব বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৭৮টি কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরে প্রায় ১০ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে। রাজ্য সরকারগুলিতেও রয়েছে লক্ষ লক্ষ শূন্যপদ, যেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া বছরের পর বছর ঝুলে আছে। পাশাপাশি, বেসরকারি আইটি ও উৎপাদন খাতে চলতে থাকা মন্দা পরিস্থিতি কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রবণতা বাড়িয়ে তুলেছে।
তাঁর কথায়, দেশের বৃহত্তম কর্মসংস্থান ক্ষেত্র কৃষিক্ষেত্রে নিয়োজিত যুবকদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে ভরসার অভাব। প্রতিদিন হাজার হাজার চাষি কৃষিকাজ ত্যাগ করে অন্য পেশায় ঝুঁকছেন, যার পেছনে রয়েছে অব্যবস্থাপনা, লোকসান ও সরকারি সহায়তার অভাব। যেসব নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, সেগুলিও বারবার নিয়োগ দুর্নীতি এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ফলত, লক্ষ লক্ষ যোগ্য যুবক প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যেমন উত্তরাখন্ড, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে বেকার যুবকদের মধ্যে প্রবল বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে।
এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ অর্গানাইজেশন দেশজুড়ে সর্বভারতীয় প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে আজ সংগঠনের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির উদ্যোগে আগরতলার প্যারাডাইস চৌমুহনীতে এক বিক্ষোভ সভার আয়োজন করা হয়।
তাঁদের দাবিগুলো হল, সব শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগ এবং নতুন পদ সৃষ্টি করে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, নিয়োগ দুর্নীতি ও প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে কড়া আইন ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যে সকল ব্যক্তি বা চক্র নিয়োগ দুর্নীতি ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

