গুয়াহাটি, ৫ জুলাই: অসমের জলসম্পদ দফতরের অধীনস্থ সমস্ত বন্যা ও ভাঙন নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের উপর নজরদারি কড়া করা হয়েছে বলে জানালেন রাজ্যের জলসম্পদ ও তথ্য-জনসংযোগ মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, এই কাজগুলিতে কোনও প্রকার বিলম্ব বা গাফিলতির ক্ষেত্রে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে চলবে।
মন্ত্রী হাজরিকা জানান, জলসম্পদ দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, ইঞ্জিনিয়ার ও মাঠপর্যায়ের কর্মীরা রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে দুল্লভপুরে লোংগাই নদীর দক্ষিণ তীর, যেখানে ভাঙন বন্ধের কাজ চলছে এবং পঞ্চদলিতে শিংলা নদীর বাঁ তীরে তীব্র ভাঙনের মোকাবিলায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়াও, লোংগাই নদীর দক্ষিণ তীরে কারচার খালে স্লুইস গেট সংলগ্ন ভাঙনপ্রবণ অংশে চলমান মেরামতির কাজ ঘুরে দেখেন কর্মকর্তারা। এই অংশটি শ্রীভূমি জলসম্পদ ডিভিশনের অধীনে এবং এলাকাটিকে বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে এই কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দা-পারবতিয়া এলাকার বোরাছুবুরিতে সাম্প্রতিক পরিদর্শন প্রসঙ্গে হাজরিকা বলেন, নিজে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এলাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেছি, সরকার তাদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
তিনি কামরূপ মেট্রোর ডেপুটি কমিশনারের প্রশংসা করেন, যিনি সম্প্রতি খানাজান চ্যানেলে আরসিসি বন্যা প্রতিরোধ প্রাচীর এবং স্লুইস গেট মজবুত করার কাজ ঘুরে দেখেন। এই প্রকল্পগুলি নিদা ও নাবার্ড স্কিমের আওতায় গুয়াহাটির কামরূপ মেট্রো জলসম্পদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে চলছে। এই জেলার জনঘনত্ব বেশি হওয়ায় বন্যা প্রতিরোধে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
অসমে বর্ষাকালে বন্যা ও নদীভাঙন একটি নিয়মিত সমস্যা। ব্রহ্মপুত্র সহ এর উপনদী যেমন লোংগাই ও শিংলা প্রায়শই বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, যার ফলে বাঁধ ভেঙে যায় ও নিচু এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বাড়ি, কৃষিজমি ও পরিকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় জলসম্পদ দফতরের প্রতিটি প্রকল্পের সময়মতো ও গুণগত মান বজায় রেখে সম্পন্ন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন মন্ত্রী হাজরিকা।