৯ জুলাই দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক সিআইটিইউ-র

আগরতলা, ৫ জুলাই : সর্বস্তরের জনগণের ১৭ দফা দাবীতে ১০টি ট্রেড ইউনিয়ন, ফেডারেশন ও গনসংগঠন সমূহ আাগমী ৯ জুলাই দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আগামী জনগনের কাছে ধর্মঘটকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য আবেদন জানিয়ে সিআইটিইউ। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে করে সিআইটিইউর নেতৃত্বরা জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

এদিন নারায়ণ কর বলেন, বিজেপি সরকারের আমলে কৃষক, বেকার যুবক যুবতী, সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় সম্মুখীন হচ্ছেন। সরকারি ক্ষেত্রে শূন্য পদ থাকা সত্বেও পূরণ করছে না। বেকারদের কাজের খুঁজে দিশেহারা হয়ে গিয়েছে। এমনকি রেগার মজুরি পাচ্ছেন না। নতুন শিক্ষানীতির কারণে ছাত্র ছাত্রীদের পরিবারের পড়াশোনা চালাতে সমস্যা হচ্ছে। তাই এরই প্রতিবাদে সর্বস্তরের জনগণের ১৭ দফা দাবীতে ১০টি ট্রেড ইউনিয়ন, ফেডারেশন ও গনসংগঠন সমূহ আাগমী ৯ জুলাই দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

তাঁদের দাবিগুলো হল, চারটি শ্রম কোড/সংহিতা অবিলম্বে বাতিল করা, সংগঠিত, অসংগঠিত, চুক্তিভিত্তিক ও বিভিন্ন প্রকল্পে নিযুক্ত কর্মীদের জন্য জাতীয় সর্বনিম্ন মজুরি ২৬,০০০/- টাকা প্রতি মাস নির্ধারণ করা, আউটসোর্সিং, নির্দিষ্ট মেয়াদের কর্মসংস্থান, শিক্ষানবীশ, প্রশিক্ষণার্থী ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকল্প ও অজুহাতে কাজের আনুষ্ঠানিকীকরণ বন্ধ করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য অবিলম্বে “সমকাজে সমবেতন” কার্যকর করা, সংগঠিত, অসংগঠিত ও কৃষি শ্রমিকসহ সকল শ্রেণির শ্রমিকদের জন্য ৯,০০০/- টাকা সর্বনিম্ন পেনশন এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। গৃহভিত্তিক শ্রমিক, হকার, আবর্জনা সংগ্রাহক, গৃহকর্মী, নির্মাণ শ্রমিক, অভিবাসী শ্রমিক, প্রকল্প কর্মী, কৃষিশ্রমিক, দোকান/প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক, লোডিং/আনলোডিং কর্মী, গিগ কর্মী, লবণচাষী, বিড়ি শ্রমিক, তাড়ি সংগ্রাহক, রিকশাচালক, অটো/ট্যাক্সি চালক, প্রবাসী শ্রমিক, মৎস্যজীবী প্রভৃতি সকলকে সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় এনে পেনশনসহ সমস্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে এবং সেই সুবিধানিশ্চিত করতে সরকারকে দায়িত্ব পালন করা হোক।

তাছাড়া, পুরোনো পেনশন স্কিম পুনর্বহাল করতে হবে। এনপিএস ও ইউপিএস বাতিল করা, বোনাস, প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রাপ্তির যোগ্যতা ও পরিশোধের সব সীমা তুলে দিতে হবে: গ্র্যাচুইটির পরিমাণ বৃদ্ধি করা, ট্রেড ইউনিয়নের আবেদনের ৪৫ দিনের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন করতে হবে, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে; খাদ্য, ওষুধ, কৃষি উপকরণ ও যন্ত্রপাতির ওপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করতে হবে; পেট্রোলিয়াম পণ্য ও রান্নার গ্যাসের ওপর কেন্দ্রীয় আবগারি শুল্ক যথেষ্ট পরিমাণে কমাতে হবে; খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম সর্বজনীন করতে হবে, পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজ, সরকারি দপ্তরের বেসরকারিকরণ বন্ধ করতে হবে। জাতীয় মনিটাইজেশন পাইপলাইন বাতিল করতে হবে। খনিজ ও ধাতুর খনন সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে, খনি থেকে প্রাপ্ত লাভের ৫০% স্থানীয় সম্প্রদায় বিশেষ করে আদিবাসী ও কৃষকদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা সহ ১৭ দফা দাবি জানানো হয়েছে।

Leave a Reply