প্রতিনিধি, কল্যানপুর, ২৬ এপ্রিল : নাম নিরঞ্জন পাল, দায়িত্ব পালন করছিলেন ২৭ এর ৪৪ নম্বর বুথে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে। তবে অভিযোগ ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় থেকেই নানানভাবে গোটা প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে চলেছিলেন প্রিসাইডিং অফিসার। সবচেয়ে মারাত্মক অভিযোগ হচ্ছে একাংশ ভোটারকে ভোট না দিয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য করেছিলেন প্রিসাইডিং অফিসার মহাশয়। পরবর্তী সময়ে গোটা বিষয়টা সংবাদ মাধ্যমের নজরে আসার পর সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরে বিষয়টা নিয়ে যাওয়া হয়।
মুহূর্তের মধ্যেই সেক্টর অফিসার তপন দাস সংশ্লিষ্ট পোলিং স্টেশনে হাজির হন এবং উপস্থিত ভোটারদের সাথে কথা বলে এবং যাবতীয় বিভিন্ন বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে প্রিসাইডিং অফিসার নিরঞ্জন পাল ঠিকভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন না। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতির চাপে এবং গণদেবতাদের দাবির মুখে প্রিসাইডিং অফিসার নিরঞ্জন পালকে বদল করা হয়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন কল্যাণপুর প্রমোদনগর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কমলনগরের সংশ্লিষ্ট ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে এই প্রিসাইডিং অফিসারের জন্য সকাল থেকেই ব্যাপক বিরম্বনাতে করতে হয় একটা বিরাট অংশের ভোটারদের। পরবর্তী সময়ে সেক্টর অফিসারের কার্যকরী ভূমিকাতে খুশি এলাকাবাসী।