নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ৭ মার্চ: গত ২২শে জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠান করেছেন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। সেদিন থেকেই ভারতবাসীর সিদ্ধান্ত করে নিয়েছে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু সময়ের অপেক্ষা। এমনটাই বললেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সুশান্ত দেব।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার দুটি আসন বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করার লক্ষ্যে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে শাসক দল। ইতিমধ্যে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি দল।
যুব মোর্চার জাতীয় ও রাজ্য কমিটির নির্দেশ অনুসারে যুবমোর্চার উদ্যোগে যুব চৌপাল কর্মসূচি।ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি যুব মোর্চা নির্ধেশানুক্রমে রাজ্য জুড়ে এখন যুব চৌপাল কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।যুব মোর্চার উদ্যোগে চৌপাল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নির্বাচনে রাজ্যের দুইটি আসনে প্রচারণাকে আরও তীক্ষ্ণ করতে চাইছে শাসক দল।
এই কর্মসূচি অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকালে খোয়াই যুব মোর্চা মন্ডল কমিটির উদ্যোগে চৌপাল কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। যুব মোর্চার উদ্যোগে যুব চৌপাল কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সুশান্ত দেব। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য সুমন দাস, খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার, যুব মোর্চার সভাপতি সত্যজিৎ পাল, জেলা স্তরীয় যুব মোর্চার অন্যান্য নেতৃত্বরা।এদিনের এই জনসভা শুরু হওয়ার পূর্বে বিজেপি সোনাতলা শক্তি কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথ থেকে যুবক-যুবতীরা জমায়েত হয় সভা স্থলে। এদিনের সভায় নতুন প্রজন্মের যুবক-যুবতীদের উপস্থিতি ছিলেন লক্ষণীয়।
বিজেপি খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার বলেন,আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যুব মোর্চার সাংঘটনিক পরিকাটামোকে আরও শক্তিশালী ও মজবুত করতে রাজ্য ব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুব চৌপাল কর্মসূচি। ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার কেন্দ্রে চারশো বেশি আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হবে এটা নিশ্চিত। বিগত বছর গুলিতে ভারতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি জনসাধারণের জন্য কাজ করে চলেছে।
মহিলা স্বশক্তি করার লক্ষ্যে জন্য কাজ করে চলেছে। ভারতবর্ষে কংগ্রেস সরকার থাকাকালীন মহিলাদের জন্য কোন কিছুই করেনি। ২০২৩ সালের রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মুহূর্তে সিপিআইএম কংগ্রেস জোট হয়ে ত্রিপুরায় বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও সিপিআইএম কংগ্রেস একত্রিত হয়ে আবারও বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে। তাদেরকে এখন আর বিশ্বাস করছে না মানুষ। রাজ্যে কংগ্রেস সরকার ও সিপিআইএমের ৩৫ বছর রাজত্ব দেখেছে। তাছাড়া কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গুলি বক্তব্যের মধ্যে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি সুশান্ত দেব বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়নের জোয়ার বইছে। একই ভাবে রাজ্যের উন্নয়ন হয়েছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত বিকাশ মুখী সরকার চলছে। এই বিকাশ মুখী সরকারের প্রচেষ্টায় ভারত সারা বিশ্বের নাম উজ্জ্বল করেছে। আমাদের গর্ব আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।আরো বলেন, যুব মোর্চার সভাপতি অন্য ১০টা দলের মতো নয়। অন্য দলগুলি যেখানে যুব সহ অন্যান্য মানুষদের নিয়ে রাজনীতি করে কিন্তু বিজেপি মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। এই চৌপালের মাধ্যমে যুব প্রজন্মের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হচ্ছে তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে আগামী দিনে কি কি চায়।