BRAKING NEWS

পুষ্পবন্ত প্রাসাদের ভূমিকম্প প্রতিরোধক কাজের জন্য ৬.৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ

আগরতলা, ২০ জানুয়ারি : ত্রিপুরা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির (টিডিএমএ) স্টেট এগজেকিউটিভ কমিটির এক পর্যালোচনা সভা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৩-এর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে রাজস্ব দপ্তর রাজ্যে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যেসমস্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে। রাজস্ব দপ্তর থেকে এক প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে যে, রাজ্য জুড়ে আন্তর্জাতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি হ্রাস দিবস পালন করার অঙ্গ হিসেবে এক মাসব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়েছে। ১৩ অক্টোবর রাজ্য ও জেলাস্তরে এই দিবস পালন করা হয় এবং সমস্ত সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা এমনকি বেসরকারি সংস্থার কার্যালয়ে বিপর্যয় এর প্রস্তুতিমূলক শপথবাক্য পাঠ করা হয়। 

রাজস্ব দপ্তরের প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে যে, স্টেট এগজেকিউটিভ কমিটি পুষ্পবন্ত প্রাসাদের ভূমিকম্প প্রতিরোধক রেট্রোফিটিং কাজের জন্য পর্যটন দপ্তরকে স্টেট ডিজাস্টার মিটিগেশন ফান্ড থেকে ৬.৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুসারে বিপর্যয়ের প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্টেট এগজেকিউটিভ কমিটি ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ এর প্রেক্ষিতে পরিকল্পনা এবং ২০২১-২২ থেকে ২০২২-২৩ এর বার্ষিক পরিকল্পনাও অনুমোদন করেছে।

রাজ্য সরকার ‘আপদা মিত্র’ প্রকল্পের অওতায় ১৫ রকম গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম ক্রয় করেছে এবং জেলা কর্তৃপক্ষের কাছে তা হস্তান্তর করেছে। বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানের আয়োজন, ভিড় নিয়ন্ত্রণ, প্যান্ডেল নির্মাণ, পুলিশ ও ভলান্টিয়ার নিয়োগ, প্রচার ইত্যাদি সম্পর্কে নিয়ম নীতি ও নির্দেশিকা জেলা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ২০২৩-এর নভেম্বরের মিথিলী সাইক্লোন ও ডিসেম্বরের ভারি বর্ষণের কারণে সৃষ্ট সমস্যার সফলভাবে মোকাবিলা করেছে রাজ্য সরকার। ডিসেম্বরের ২১ তারিখ ৬১তম সিভিল ডিফেন্স এবং হোম গার্ডস ডে উদযাপন করা হয়েছে যথাযথ ভাবে। 

২০২৩-এর ২১ ডিসেম্বর ভূমিকম্প সম্পর্কিত রাজ্যস্তরীয় কৃত্রিম অনুশীলন সম্পাদন করা হয়। সেজন্য এলাকার সরকারি কার্যালয়, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, বাজার/কমিউনিটি, কেমিক্যাল সংক্রান্ত ঝুঁকি। ভূমিধস প্রবণ এলাকা ইত্যাদি চিহ্নিত করা হয়। কৃত্রিম অনুশীলনে সমস্ত জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর, সেনাবাহিনী, সামাজিক সংস্থা সকলেই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। আপতকালীন সহায়তার জন্য যে টোল ফ্রী নম্বর (১১২) চালু করা হয়েছে সেটি সারা রাজ্যে ২৪ ঘন্টা চালু রয়েছে।

তাছাড়া বিপর্যয়কালীন সময়ে যোগাযোগের সুবিধার্থে রাজ্য সরকার সমস্ত জেলায় ৯টি হ্যাম রেডিও স্টেশন স্থাপন ও চালু করেছে। জানুয়ারি ২০২২ থেকে আপতকালীন সতর্কতা জারির জন্য একটি পোর্টাল চালু রয়েছে। ভূমিকম্পজনিত ঝুঁকি হ্রাস করতে বিভিন্ন সরকারি ভবনের রেট্রোফিটিং এর কাজ চলছে এবং সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রকৌশলী, কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। অগ্নি সংযোগের ঘটনা মোকাবিলায়ও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *