করিমগঞ্জ (অসম), ২৬ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : মেঘালয় কান্ডের জেরে গত পাচঁদিন ধরে সড়ক পথে বিচ্ছিন্ন অসমের বরাক উপত্যকা । ত্রিপুরা বা বরাক উপত্যকা থেকে কোন ধরনের যাত্রীবাহী বাহন এমনকি পণ্যবাহী লরি মেঘালয় সীমান্তে প্রবেশ করেনি । হিংসার আগুনে জ্বলছে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংঙে। উত্তেজনা যাতে না ছড়ায় তার কারনে মেঘালয়ের সাত জেলার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।
যাত্রীদের সুরক্ষা এবং যানবাহণের নিরাপত্তার কোনো নিশ্চয়তা না থাকায় বরাক উপত্যকা এবং ত্রিপুরার গাড়ি গুলো গত মঙ্গলবার থেকে মেঘালয় রাজ্যের মধ্যে দিয়ে গুয়াহাটি যাতায়াত করেনি । করিমগঞ্জ সহ বরাক উপত্যকার তিন জেলা করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, শিলচর থেকে কোনও ডে সুপার ও নাইট সুপার গুয়াহাটি অভিমুখে যাচ্ছে না । যার ফলে বিপাকে পড়েছেন বরাক উপত্যকা সহ ত্রিপুরার যাত্রীরা । বর্তমানে একমাত্র রেল যোগাযোগ ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই জনগণের ।
মেঘালয়ের এই অশান্তি এবং হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু নাইট সুপার নয়, ত্রিপুরা থেকে আসা শতাধিক লরি বর্তমানে করিমগঞ্জ বাইপাসে দাঁড়িয়ে রয়েছে । এছাড়াও অসম – ত্রিপুরা সমস্ত জাতীয় সড়ক জুড়ে স্থানে স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে লরির লম্বা লাইন ।
শিলংঙের বর্তমান উদ্ভুদ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে থাকা বরাকের শ্রমিক সহ অন্যান্য লোকেরা গভীর উৎকণ্ঠার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন । বরাক উপত্যকা থেকে শিলঙে গিয়ে অনেকেই আটকে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
মেঘালয় অতিক্রম করার জন্য জাতীয় সড়কে যে হারে পণ্যবাহী গাড়ির লাইন রয়েছে তাতে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অর্থনৈতিক দিক দিয়েও নানা প্রভাব আসার সম্ভাবনা রয়েছে ।