BRAKING NEWS

সরকারকে এক সপ্তাহ সময়সীমা দিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ আগস্ট৷৷  চাকুরীচুত্য ১০৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তারা দাবি জানিয়েছেন৷ অন্যথায় তারা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা সহ বৃহত্তর আন্দোলনের শামিল হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷
রাজ্যের চাকুরীচুত্য ১০৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকারা শুক্রবার বিভিন্ন সুকলে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য যান৷ কোন কোন সুকলের প্রধান শিক্ষক কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক চাকুরীচুত্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারে স্বাক্ষর করতে দিয়েছেন বলে তারা জানান৷ আবার কোন কোন সুকলের প্রধান শিক্ষক কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক তাদের আবেদন পত্র গ্রহণ করে রিসিভ কপি দিয়েছেন৷ আবার কোন কোন সুকলে রিসিভ কপি দেওয়া হয়নি৷ অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক তাদের আবেদন পত্র গ্রহণ করেননি৷ এমনকি তাদের সঙ্গে অবাঞ্ছিত অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়৷ শনিবার এ  সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আগরতলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন  বিস্তারিত তথ্য জানান চাকুরীচ্যুত শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ৷ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্পষ্টভাবে জানান, অনেক সুকলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পর্যন্ত মান্য করা হয়নি৷ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের কাছে চাকরিতে যোগ দিতে না দেওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষক কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক যুক্তিসংহত কোন কারণ দেখাতে পারেননি কিংবা কোন নির্দেশনামা দেখাতে পারেননি বলেও তারা জানান৷ চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা সংক্রান্ত কোনো ধরনের নথিপত্র দেখাতে না পারা সত্ত্বেও কেন তাদেরকে চাকরিতে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না কিংবা এতদিন ধরে তারা বিদ্যালয়ে  যাননি ,সেসব বিষয়ে তারা কি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন সে সম্পর্কেও কোন তথ্য তারা দিতে পারেননি৷ চাকুরীচ্যুত শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেককে কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ না দিলে তারা আদালতের শরণাপন্ন হবেন৷ উল্লেখ্য,দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের ১০৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকারা এক চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন৷ সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনের মাধ্যমে তারা যে তথ্য পেয়েছেন, তাতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে সুপ্রিমকোর্ট তাদেরকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করার কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দেয়নি৷ এই তথ্য পাওয়ার পরই  শিক্ষক শিক্ষিকারা পুনরায় তাদের বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিতে যান শুক্রবার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *