মনির হোসেন,ঢাকা,০৯ জানুয়ারী।। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণ না করাই সবচেয়ে ভালো হবে। তবে ভারতে যাওয়ার জন্য স্থলবন্দর খোলা থাকবে এবং ভিসাও চালু থাকবে। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এসব কথা বলেছেন।
রোববার রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট হাসপাতালে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়া শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে কূটনীতিকদের জন্য টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার কর্মসূচি উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এরপর অন্যান্যদের সঙ্গে টিকা নেন বিক্রম দোরাইস্বামী। তিনি আরও বলেন, ১১ জানুয়ারি থেকে ভারতে যাওয়া সবাইকে সাতদিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের জন্যও এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে
মনির হোসেন,ঢাকা,০৯ জানুয়ারী।। বাংলাদেশের দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। ফলে কমতে শুরু করেছে দামও। আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের নেতাদের দাবি, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি সচল থাকলে দাম হাতের নাগালে থাকবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে হিলি বাজারে কেজিতে ৪-৬ টাকা কমে ২৬-২৭ টাকায় মিলছে ভারতীয় পেঁয়াজ।হিলি বন্দরের গণসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাপ মল্লিক জানান, বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) মাত্র তিন ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। সেখানে শনিবার (৮ জানুয়ারি) একদিনেই ১৯ ট্রাকে ৫২৯ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা মিঠু জানান, বেশকিছু দিন থেকেই ভারতীয় পেয়াঁজের আমদানি কম ছিলো। দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি এবং দামে কমের কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদাও কম ছিল। তবে গত সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘনকুয়াশার কারণে দেশি পেঁয়াজ সরবরাহ কমে যায়। ফলে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ে। আমদানি বেড়ে যাওায় কয়েকদিনের তুলানায় দাম কেজিতে ৪-৬ টাকা কমেছে। গেল তিনদিন আগে ভারতীয় ভালো মানের পেঁয়াজের দাম ছিল ৩২ টাকা। আজ সেই পেঁয়াজ ২৬-২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আব্দুল রাফি নামের এক ক্রেতা জানান, দীর্ঘদিন থেকে পেঁয়াজের দাম হাতে নাগালেই রয়েছে। সারাবছর এমন দাম থাকলে ভালো হতো।
পশ্চিমবঙ্গকে যংযুক্ত করতে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের নতুন শিপিং রুট
মনির হোসেন,ঢাকা,০৯ জানুয়ারী।। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে যংযুক্ত করতে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে নতুন শিপিং রুট তৈরি করতে কাজ শুরু করেছে ভারত। শনিবার (৮ জানুয়ারি) এ কথা জানান ভারতের বন্দর, নৌপরিবহন ও নৌপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) চলমান নর্থইস্ট ফেস্টিভালে “ব্রহ্মপুত্র রিভার কনক্লেভ”-এ বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা জানান। গনমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন,এই রুটের মাধ্যমে আসাম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে পণ্যবাহী কার্গো ও যাত্রীবাহী জাহাজ বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে। ইতোমধ্যে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য বরাক ও ব্রহ্মপুত্র নদের জলপথ প্রশস্ত ও ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আসাম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে পণ্য ও যাত্রীবাহী জাহাজগুলো বাংলাদেশ হয়ে হলদিয়ায় সংযুক্ত হবে।
তিনি জানান, শুধু ব্রহ্মপুত্রই নয় মানস, ধানসিঁড়ি, আইসহ অন্যান্য নদীগুলোর নৌপথের উন্নয়ন করতে হবে। এতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাজারগুলো আরও জমজমাট হয়ে উঠবে। তিনি বলেন,আটটি রাজ্যকে অবশ্যই একত্রিত হতে হবে। এই অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।