BRAKING NEWS

রাজ্য সরকার সকল জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছে : সংখ্যালঘু কল্যাণ ও অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী কল্যাণমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতনিধি, আগরতলা, ৭ জানুয়ারি৷৷ ছাত্রছাত্রীরা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ৷ তারা সুুনাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেই সমাজ, রাজ্য ও দেশ সামগ্রিকভাবে এগিয়ে যাবে৷ তবে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ সুুদৃঢ় করতে, শিক্ষাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার কাজ সরকারের পক্ষে একা করা সম্ভব নয়৷ এ লক্ষ্যে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে৷
সংখ্যালঘু কল্যাণ ও অন্যন্য পশ্চাদপদ শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২ নং সভাকক্ষে সংখ্যালঘু কল্যাণ ও অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণীভুক্ত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের ভাষণে এই অভিমত ব্যক্ত করেন৷ অনুষ্ঠানে সংখ্যালঘু কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে ২০১৯-২০ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সর্বাপেক্ষা বেশি নম্বর প্রাপ্ত ৬ জন কৃতী ছাত্রীকে বেগম রোকেয়া স্বর্ণপদক পুরস্কার, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ বা এর উর্ধে নম্বর প্রাপ্ত ৮ জনকে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ মেধা পুরস্কার এবং ১ জন ছাত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী মেধা সংখ্যালঘু বালিকা স্বর্ণপদক পুরস্কারে পুরসৃকত করা হয়৷ এছাড়া অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে ২০১৯-২০ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে বিভিন্ন স্থানাধিকারী ২৭ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ড. বি আর আম্বেদকর স্বর্ণপদক এবং ড. বি আর আম্বেদকর মেধা পুরস্কার এবং ৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বিদ্যাসাগর সমাজ সংস্ক’তি সম্মাননা প্রদান করা হয়৷


প্রদীপ জেলে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে সংখ্যালঘু কল্যাণ ও অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল বলেন, রাজ্য সরকার সকল জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছে৷ তবে সংখ্যালঘু সম্পদায় এবং অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী সম্পদায়ের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার প্রসারে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ এজন্য দুটি দপ্তরের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের সার্বিক বিকাশে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে যাতে একটা সুুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ত্রিপুরা গড়তে সবাই সমভাবে এগিয়ে যেতে পারবে৷ তিনি উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এদেশে বহু মহান ও ক’তী সন্তান জন্মেছেন৷ যাঁরা সমাজ ও দেশ গড়ার কাজে কৃতিত্ব রেখে গেছেন৷ তাঁদের অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে হবে৷ সম্মানিত অতিথির ভাষণে ত্রিপুরা রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান মহম্মদ জসীম উদ্দিন ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত গড়তে শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই৷
সম্মানিত অতিথির ভাষণে ওবিসি রাজ্য কমিশনের চেয়ারম্যান মৃণাল কান্তি নাথ বলেন, গত ২ বছর করোনার কারণে এ অনুষ্ঠান করা যায়নি৷ তিনি বলেন, শিক্ষা হচ্ছে একটি জাতির উন্নয়নের মাপকাঠি৷ সংখ্যালঘু ও অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা থাকলে তারাও ভবিষ্যতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে৷ চাকরিতে বড় বড় পদ দখল করতে পারবে৷


স্বাগত ভাষণে সংখ্যালঘু কল্যাণ এবং অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের সচিব তাপস রায় বলেন, সারা ভারতবর্ষের সাথে রাজ্যেও আজাদি কা অমৃত মহোৎসব চলছে৷ এরই অঙ্গ হিসেবে আজ এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে৷
উল্লেখ্য, আজ অনুষ্ঠানে ৬ জন কৃতী ছাত্রীকে বেগম রোকেয়া স্বর্ণপদক পুরস্কার ও মানপত্র দেওয়া হয়৷ প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ডিবিটির মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে৷ মৌলানা আবুল কালাম আজাদ মেধা পুরস্কার হিসেবে ৮ জনকে শংসাপত্র দেওয়া হয়৷ এ প্রকল্পে মাধ্যমিকে কৃতীদের অ্যাকাউন্টে ২,৫০০ টাকা এবং উচ্চমাধ্যমিক কৃতীদের অ্যাকাউন্টে ৩,৫০০ টাকা ডিবিটির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী মেধা সংখ্যালঘু বালিকা প্রকল্পে ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিকে পঞ্চম স্থানাধিকারী জান্নাতুল ফেরদৌসকে দেওয়া হয় স্বর্ণপদক ও মানপত্র৷ তার অ্যাকাউন্টে ১৯ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে৷ তাছাড়া ২৮ জন ক’তী ওবিসি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ড. আম্বেদকর স্বর্ণপদক ও ড. আম্বেদকর মেধা পুরস্কার দেওয়া হয়৷ প্রত্যেককে স্বর্ণপদক, শংসাপত্র ও ২৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়৷ তাছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিদ্যাসাগর সমাজ সংস্ক’তি সম্মাননা পেয়েছেন ড. সুুবল দেবনাথ, গোপাল চন্দ্র চৌধুরী, সুুদীপ কুমার নাথ, গুরু শ্রীমতী সিনহা ও এল বীরমঙ্গল সিনহা৷ তাদের প্রত্যেককে দেওয়া হয় শাল, মানপত্র ও ১০ হাজার টাকার চেক৷


মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল সহ অতিথিগণ পুরস্কার প্রাপকদের হাতে পুরস্কারগুলি তুলে দেন৷ অনুষ্ঠান শুরুর আগে মন্ত্রী সহ অতিথিগণ ড. আম্বেদকর, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ও বেগম রোকেয়ার প্রতিক’তিতে পুপার্ঘ্য অর্পণ করে বিনম শ্রদ্ধা ’াপন করেন৷ অনুষ্ঠানে সংখ্যালঘু কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা দশরথ দেববর্মা ছাড়াও বহু ছাত্রছাত্রী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন৷ সকলকে ধন্যবাদ ’াপন করেন অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা কুন্তল দাস৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *