BRAKING NEWS

আরো এক চাকুরিচ্যুত শিক্ষক প্রয়াত

বিশালগড়, ৫ জানুয়ারি : বিশালগড়ের সুতার মুড়ার সাধু পাড়ায় হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে চাকরিচ্যুত আরো এক শিক্ষকের। প্রয়াত শিক্ষকের নাম জীবন দেববর্মা।


জানা গেছে, গতকাল রাতে নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন জীবন দেববর্মা। পরিবারের লোকজন তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিশালগড় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু শেষ রক্ষা করা যায়নি। বিশালগড় হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। চাকরিচ্যুত শিক্ষক জীবন দেববর্মার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই সহকর্মী সহ আত্মীয়-পরিজনদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। চাকরিচ্যুত শিক্ষক জীবন দেববর্মার  মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিশালগড়ে ছুটে যান।


প্রয়াত জীবন দেববর্মার পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন সংগঠনের নেতা কমল রায়। তিনি বলেন, হতাশাগ্রস্ত হয়ে চাকুরিচ্যুত শিক্ষক জীবন দেববর্মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত চাকরিচ্যুত ১২১ জন শিক্ষক শিক্ষিকা প্রয়াত হয়েছেন বলেও তিনি জানান। পরপর এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর হতাশা ব্যক্ত করেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, একের পর এক চাকুরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মৃত্যুর ঘটনার পরও সরকারের টনক নড়ছে না। সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রীরা বলছেন তারা মানবিক। অন্যদিকে অমানবিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


কোথায় সরকারের মানবিক মুখ সেটাও তারা দেখতে চান। মৃত্যুর মিছিল আর কত দীর্ঘায়িত হলে তাদের মানবিক মুখ দেখা যাবে সেই প্রশ্নও তুলেছেন চাকুরিচ্যুত শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে চাকরীচ্যুত শিক্ষকদের নিয়োগের ব্যবস্থা করতে তারা সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছেন। তারা জানান, চাকরিচ্যুত হওয়ার পর থেকে তারা কর্মহীন। তাদের কর্মসংস্থানের বিকল্প ব্যবস্থা নেই। ফলে পরিবারে অনাহার-অর্ধাহার নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসা করানোর মতো অর্থের সংস্থান নেই। অনেকের পরিবারে স্ত্রী সন্তান এবং বৃদ্ধ পিতা মাতাকে ভরণপোষণ দিতে পারছেন না। এই অবস্থায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। সরকারকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *