Youths were detained : অসমে প্রবেশের পথে চার বাংলা‌দেশী যুবক অসম পুলিশের জা‌লে আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ অক্টোবর।। ত্রিপুরার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশী নাগরিকদের অনুপ্রবেশের ঘটনা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। রাজ্য পেরিয়ে অসমে প্রবেশের পথে চার বাংলা‌দেশী যুবক অসম পুলিশের জা‌লে আটক। বাংলা‌দে‌শের সীমান্ত টপ‌কে অবৈধভাবে ভার‌তে প্রবেশ ক‌রে চেন্নাই যাবার প‌থে চার বাংলা‌দেশী নাগ‌রিক ধরা পড়ল পাশ্ববর্তী রাজ্য অসমের করিমগঞ্জ জেলার চুরাইবা‌ড়ি ওয়াচ পোষ্ট পু‌লি‌শের হা‌তে।ধৃত‌দের ম‌ধ্যে র‌য়ে‌ছে রা‌জেশ শেখ(২৯)‌ পিতার নাম র‌ফিক শেখ।বা‌ড়ি রাজশা‌হি গেদাখাড়ি।

আসাদুল শেখ ওর‌ফে সাইদুল(২৯)‌পিতার নাম ইব্রা‌হিম শেখ।বা‌ড়ি রাজশা‌হির আমত‌লি।সানা উল্লাহ ওরফে অলি(২৪)‌পিতার নাম আব্দুল ওয়াব।বা‌ড়ি রাজশা‌হি গেদাখাড়ি ও কাওসার হো‌সেন(‌২০)‌পিতার নাম ইসমাইল হো‌সেন।বা‌ড়ি রাজশা‌হি গেদাখাড়ি।এ ম‌র্মে চুরাইবা‌ড়ি ওয়াচ পোষ্টের ইনচার্জ মিন্টু শীল জানান, শুক্রবার সন্ধ‌্যায় আগরতলা থে‌কে গুয়াহা‌টিগা‌মি নৈশকা‌লিন বাসটি ত্রিপুরা রাজ‌্য পে‌রি‌য়ে অস‌মে প্রবে‌শের মু‌খে স্থা‌নিয় পু‌লিশ চেক গেইটে রু‌টিন তল্লা‌শি চালায় পু‌লিশ।এ‌তে ধরা প‌ড়ে বাংলা‌দেশী চার যুবক।পু‌লি‌শের প্রাথ‌মিক জেরার মু‌খে ধৃতরা জানায় যে তারা ত্রিপুরার আগরতলা হ‌য়ে টাকার বিনিময়ে দালাল মারফত ভার‌তে প্রবেশ ক‌রে।

তারপর কা‌জের জন‌্য চেন্নাই যাবার উ‌দ্দে‌শ্যে ছিল তাদের।তা‌দের কাছে ভার‌তে প্রবে‌শের কোন বৈধ কাগজ পত্র পাওয়া যায়‌নি।ধৃত‌দের কাছ থে‌কে কিছু ভারতীয় ম‌ুদ্রা সহ চার‌টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হ‌লেও আপ‌ত্তিকর কিছু পাওয়া যায়‌নি।বর্তমা‌নে তা‌দে‌রকে অসম পু‌লি‌শ আট‌কে রে‌খে টানা জিঙ্গাসাবাদ চালাচ্ছে।শ‌নিবার আটক চার বাংলা‌দেশী যুবক‌কে আদাল‌তে সোপর্দ করা হ‌য়।তবে বাংলাদেশের কোরান কান্ডে যখন বাংলাদেশ সহ গোটা রাজ্য উত্তপ্ত,ঠিক তখন চোরা পথে চার বাংলাদেশী যুবক রাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে হাজারো প্রশ্ন। ত্রিপুরা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অসমে প্রবেশের পথে অসম পুলিশ তাদের আটক করলেও ত্রিপুরা পুলিশের এত গুলি থানার পুলিশ অবৈধ প্রবেশকারীদের আটক করতে সম্পূর্ণ রুপে ব্যর্থ। পাশাপাশি রাজ্যের গোয়েন্দা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ। অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হলেও অনুপ্রবেশ কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে চলেছে। তাতে বিএসএফ এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।