নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১৭ অক্টোবর৷৷ স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ চল্লিশ বর্ষীয়া স্ত্রী৷ নিখোঁজ স্ত্রীর নাম রিতা দে৷ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের৷ ঘটনা চুরাইবাড়ি থানাধীন পূর্ব চুরাইবাড়ি এলাকায়৷ দুশ্চিন্তায় গোটা পরিবার৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি থানাধীন পূর্ব চুরাইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ডের স্টেশন পাড়ার বাসিন্দা বিভাস দে ওরফে মনু পিতা অভিনাশ দে কর্ম সূত্রে খোয়াই থাকেন৷ স্টেশন রোডের বাড়িতে স্ত্রী রিতা দে ও এক ছেলে থাকতো৷অপর দুই ছেলে কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরু ও অন্য জায়গায় বসবাস করে৷গত পহেলা অক্টোবর গৃহস্থ বিভাস দের স্ত্রী রিতা দে ও মেজো ছেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়৷
মূলত মায়ের কাছে টাকা চাইতে গিয়েই মা ছেলের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়৷এরপর থেকে গৃহস্থ বিভাস দে স্ত্রী ও ছেলের সাথে কোনধরনের যোগাযোগ করতে পারেননি৷ পরবর্তীতে বাড়ি ফিরে দেখতে পান বাড়িতে স্ত্রী নেই৷ পরবর্তীতে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পারেন পহেলা অক্টোবর বিকেলবেলা দোকানে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে গেলে আর ঘরে ফিরে আসেননি স্ত্রী রিতা৷ তারপর স্বামী বিভাস দে চুরাইবাড়ি থানায় একটি নিখোঁজের ডাইরি রুজু করেন৷আজ প্রায় সতের দিন অতিক্রান্ত হলেও নিখোঁজ স্ত্রীর কোন ধরনের সন্ধান পাননি স্বামী৷
এদিকে গৃহস্থ বিভাস দে ওরফে মনু জানান, তার তিন ছেলের ঋণের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন৷কারণে অকারণে টাকা চেয়ে সংসারে যন্ত্রণা চালাত তিন ছেলে৷ বর্তমানে যদিও ছোট ছেলে কর্মসূচি ব্যাঙ্গালোর ও বড় ছেলে বিয়ে করে অন্যত্র থাকে৷ কিন্তু মেজো ছেলে বাড়িতে থেকে উৎপাত করতো৷পহেলা অক্টোবর টাকা চেয়ে বাকবিতণ্ডা হয় এমনকি ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর চালায় মেজো ছেলে বলে জানান গৃহস্থ বিভাস দে৷ তিনি আরো জানান,পহেলা অক্টোবর বিকেল থেকে আর স্ত্রীর সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ হয়নি৷ গৃহস্থ বিভাস দের অভিযোগ, স্ত্রী রিতা দে কে প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তি ধর্মনগর শহরের একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজে লাগিয়েছে৷তাই স্ত্রীর সন্ধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন স্বামী৷