নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ অক্টোবর৷৷ লেফুঙ্গা থানা এলাকায় পৃথক দুটি স্থানে গাজা বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সাফল্য পেল পুলিশ৷ লেফুঙ্গার ইয়াসিকা এলাকায় প্রায় ৭০০০ গাঁজা গাছ ধবংস করে পুলিশ৷ অন্যদিকে বামুটিয়াথ কালিবাজার সংলগ্ণ বেড়ীমুড়া এলাকায় স্বপন দাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত স্বপন দাসকে৷
লেফুঙ্গা থানার অন্তর্গত লেফুঙ্গা বাজারসংলগ্ণ ইয়াছিকা গ্রামের বড় অঞ্চল জুড়ে চাষ হচ্ছিল গাঁজা৷ গোপন খবরের ভিত্তিতে হানা দেয় পুলিশ৷ সিআরপিএফ, টিএসআর এবং পুলিশ যৌথভাবে গাঁজা বিরোধী অভিযান চালায়৷ নেতৃত্বে ছিলেন মোহনপুরে এসডিপিও ডক্টর কমল বিকাশ মজুমদার, লেফুঙ্গা থানার ওসি কৃতী জয় রিয়াং৷ এই অভিযানে প্রায় ৭০০০ গাঁজা গাছ ধবংস করা হয় বলে জানান এসডিপিও৷ অন্যদিকে বামুটিয়া কালি বাজার সংলগ্ণ বেড়ীমুড়া এলাকার স্বপন দাস-এর বাড়িতে গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ৷ তার বাড়ি থেকে মোট ১০ প্যাকেট শুকনো গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে৷
যাতে ১০০ কিলো গাঁজার রয়েছে৷ উদ্ধার হওয়া গাঁজার বাজারমূল্য প্রায় দু লক্ষ টাকা বলে জানান এসডিপিও ডঃ কমল বিকাশ মজুমদার৷ এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে বাড়ি মালেক স্বপন দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷
এদিকে, আবারো কল্যাণপুর পুলিশের নেশা বিরোধী অভিযান গিয়ে বিরাট সাফল্য৷ গত কিছুদিন ধরেই কল্যাণপুর থানার পুলিশ মদ বিরোধী অভিযানে সফলতা অর্জন করছে৷ কল্যাণপুর বাজারে সফল পুলিশি অভিযানের পর কল্যাণপুর থানাধীন মোহরছড়া বাজারে সফল পুলিশি অভিযান৷ আজকের পুলিশি অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন কল্যাণপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর প্রিয়রঞ্জন সাহা, সাব-ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ দাস এবং বিশ্বজিৎ চৌধুরী৷
সংবাদে জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনিভাবে দেশী এবং বিদেশী মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল মোহরছড়ার দেবেন্দ্র গোপের ছেলে অজিত গোপ৷ মোহরছড়া বাজার এবং সন্নিহিত এলাকায় নেশার বাড়বাড়ন্ত প্রতিরোধে বেশ কিছুদিন ধরেই তক্কে তক্কে ছিল কল্যাণপুর থানার পুলিশ৷ কিন্তু কোন ভাবেই বাগে আসছিল না অজিত গোপের মতন নেশা কারবারিরা কিংবা বন্ধ হছিল না অবৈধ মদ ব্যবসা৷ অবশেষে আজ অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে এক সময় নিজের দোকান তালা বন্ধ করে পালিয়ে যায় অজিত গোপ৷
পরবর্তী সময়ে পুলিশ বাজার সেক্রেটারি এবং অন্যান্য বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে অজিত গোপের দোকানের তালা ভেঙ্গে ফেলে এবং এই দোকান থেকে বেশকিছু পরিমাণের দেশী এবং বিদেশী মদ উদ্ধার করে কল্যাণপুর থানায় নিয়ে আসে৷ পুলিশের এই সফল অভিযানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষ৷ এই অভিযান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত অভিমত দিতে গিয়ে কল্যাণপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর প্রিয় রঞ্জন সাহা জানিয়েছেন আগামী দিনে অর্থাৎ কালীপূজা পর্যন্ত পুলিশের এই মদ বিরোধী বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে৷
মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ ভেইকেলস চেকিং -এ বসে ১৩০ কেজি শুকনো গাঁজা সহ তিনজনকে আটক করে৷ ঐ সময় গাঁজা বোঝাই গাড়ীটির চালক রূপম চাকমার মোবাইল ফোনে একটি নাম্বার থেকে বারবার ফোন আসছিল তখন পুলিশ ফোন নাম্বারের লোকটির সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং পূবপরিকল্পনা অনুযায়ি তাকে টাকা নিয়ে আসার কথা বলে৷
অন্যদিকে মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশের পাতা এই ফাদে পা দিয়ে বিকাল হতে না হতেই গাঁজা পাচারকারীরা এক যুবককে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে মুঙ্গিয়াকামী থানায় পাঠায়, ঐ যুবকের নাম আশিষ নাগ তার বাড়ি রাজধানীর শিবনগর এলাকায় বলে জানা যায়৷
পুলিশকে ঘুস দিতে আসা ঐ যুবক জানায় তাকে নাকি অভিজিৎ দে ও দিপঙ্কর সাহা নামের দুজন গাঁজা পাচারকারী পুলিশকে ঘুস দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছে, তাছাড়া সে একথাও জানায় যে খয়েরপুর এবং রানীবাজার এলাকায় নাকি ১০ থেকে ১২ জনের একটি গাঁজা পাচারকারীদের টিম রয়েছে৷ পুলিশ আশিস নাগ নামে যুবক কে গ্রেপ্তার করে৷ উল্লেখ করা যায় যে ,রাজ্যে নতুন সরকার প্রতিষ্টিত হবার পর মুখ্যমন্ত্রী বিপলব কুমার দেব নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার বুলি ছেড়ে ছিলেন৷ কিন্তু গত সাড়ে তিন বছরে এত প্রীম গাঁজা রাজ্যে উৎপাদন হয়েছে পুলিশের হাতে আটক হওয়া গাজার হিসেব দেখলেই সহজেই বুঝা যায় কত পরিমান গাজা গত তিন বছরে উৎপাদন হয়েছে৷ সাধারন মানুষ এমন তাই প্রশ্ণ তুলেছেন৷

