Transit permit to transport bamboo : ত্রিপুরায় এক স্থান থেকে অন্যত্র বাঁশ নিতে ট্রানজিট পারমিটের প্রয়োজন নেই, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত

আগরতলা, ৫ অক্টোবর (হি. স.) : ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর বাঁশ-নির্ভর অর্থনীতি তৈরির লক্ষ্যে রয়েলটি তুলে দিয়েছিল বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার। এখন বাঁশকে কেন্দ্র করে মানুষের রোজগার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ত্রিপুরায় বাঁশ এক স্থান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রানজিট পারমিটের প্রয়োজন হবে না। আজ মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। ট্রানজিট রুলস-এ সংশোধনী এনে বাঁশকে এই নিয়মের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তে ত্রিপুরায় বাঁশ বিক্রি করে মানুষের রোজগার বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ত্রিপুরায় গ্রাম-পাহাড়ে বহু মানুষ বিশেষ জনজাতি অংশের মানুষের রোজগার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাঁশ চাষের উপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় বর্তমানে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে বাঁশ চাষ হচ্ছে। ক্রমশ বাঁশ চাষের পরিমাণ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বাঁশ চাষের বছরভিত্তিক হিসাব তুলে ধরেন। গত চার বছরের হিসাব দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১১৫ হেক্টর, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১,৬০০ হেক্টর, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১,৬৩০ হেক্টর এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩,০২৪ হেক্টর জমিতে বাঁশ চাষ হয়েছে। তাই এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ত্রিপুরায় বাঁশ এক স্থান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রানজিট পারমিটের প্রয়োজন পড়বে না।
তাঁর কথায়, আজ মন্ত্রিসভা ট্রানজিট রুলস সংশোধনীর অনুমোদন দিয়েছে। বাঁশকে এই রুলস-এর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি কিংবা বনভূমিতে চাষ করা বাঁশ এক স্থান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রানজিট পারমিটের প্রয়োজন ছিল। এখন তার আর প্রয়োজন হবে না। তবে ত্রিপুরায় উৎপাদিত বাঁশ বহিঃরাজ্যে নেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রানজিট পারমিটের প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে বন দফতর থেকে এই পারমিট দেওয়া হবে।

এদিন আরও জানান, পূর্বতন সরকারের আমলে বাঁশের উপর রয়েলটি সংগ্রহ করা হতো। এতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩১ লক্ষ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৬ লক্ষ টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৮ লক্ষ টাকা রয়েলটি বাবদ সংগ্রহ হয়েছিল। কিন্তু সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ওই রয়েলটি নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, বাঁশকে কেন্দ্র করে রোজগার বৃদ্ধিই বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের প্রাথমিকতা, দৃঢ়তার সাথে বলেন তিনি।