নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা,৬ অক্টোবর।। মহালয়ার আগের রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শ্বাসনালী কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা এক যুবকের।আহত যুবকের নাম সুজয় দে (৩৩)। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মধ্য চুড়াইবাড়ি এলাকায় এক যুবক গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।তবে পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। ঘটনা চুরাইবাড়ি থানাধীন মধ্য চুরাইবাড়ি এলাকায়।ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি থানাধীন মধ্য চুরাইবাড়ি এলাকার তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুজয় দে পিতা শিবু দে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টা নাগাদ ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের শ্বাসনালী কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। জানা গেছে, আহত সুজয় দের স্ত্রী ও বাবা মা বাড়ির পাশের কালি মন্দিরে ছিলেন।সেই একাকিত্বের সুযোগে সুজয় নিজ ঘরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
কিছুক্ষণ পর পরিবারের লোকজন ঘরে এসে দেখতে পান সুজয় রক্তাপ্লুত অবস্হায় ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে।তখন পরিবারের লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি করলে ছুটে আসেন আশপাশ এলাকার জনগণ।খবর দেওয়া হয় প্রেমতলা দমকল অফিসে। দমকলকর্মীরা অকুস্থলে পৌঁছে আহত যুবককে কদমতলা সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়।সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দিপাল চাকমা প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহত যুবক সুজয় দের অবস্থা আশংকাজনক দেখে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করেন। পরবর্তীতে আহত যুবকের পরিবারের লোকজন জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে আহত যুবক ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।তবে কদমতলা হাসপাতালের চিকিৎসক সূত্রে জানা যায় ,আহত যুবকের গলার চামড়া কাটা গিয়েছে। পাশাপাশি আরো জানা যায়, আহত যুবক পেশায় একজন জুয়েলারি দোকানের কর্মচারী। চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক কলহের জেরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল সুজয়। পুলিশের তদন্তে এই আত্মহত্যার চেষ্টার পেছনে অন্য কোন রহস্য লুকিয়ে আছে কি না তা স্পষ্ট হবে।