নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ সেপ্ঢেম্বর৷৷ অতীতে ত্রিপুরা থেকে বহিঃরাজ্যে চিকিৎসার জন্য গিয়ে বহু পরিবার সর্বস্বান্ত হয়েছে৷ তাঁদের জন্য আগরতলার জিবিপি হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক নিউরো সার্জন নিয়োগে ত্রিপুরা মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে৷ বর্তমানে একজন নিউরো সার্জন রয়েছেন জিবি হাসপাতালে৷ আরও একজনের নিযুক্তিতে পরিষেবা আরও উন্নত হবে মনে করছে ত্রিপুরা সরকার৷ তাছাড়া, বহিঃরাজ্যে রোগী পাঠিয়ে বিপুল খরচের হাত থেকে কিছুটা রেহাই পাবে রাজ্য সরকার৷
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আজ মন্ত্রিসভা একজন নিউরো সার্জন, দুজন অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যানাস্থেসিস্ট এবং চারজন মেডিক্যাল অফিসার চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগে সম্মতি দিয়েছে৷ এতে নিউরো সার্জন প্রতি মাসে পাবেন সাড়ে চার লক্ষ টাকা এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যানেস্থেসিস্টরা পাবেন দেড় লক্ষ টাকা করে এবং মেডিক্যাল অফিসারদের দেওয়া হবে ৬০ হাজার টাকা করে সাম্মানিক৷ তিনি বলেন, বর্তমানে একজন নিউরো সার্জন রয়েছেন৷ তিনি মাসে ৪ লক্ষ টাকা সাম্মানিক পাচ্ছেন৷
তথ্য মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় ২০১৯ থেকে ২৫ সেপ্ঢেম্বর ২০২১ পর্যন্ত জিবি হাসপাতালের নিউরো ওপিডি-তে ২,৫২৫ জন রোগী চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে ৪৫৯টি জটিল অস্ত্রোপচার এবং দুটি অপেক্ষাকৃত কম জটিল অস্ত্রোপচার হয়েছে৷ তাঁর বক্তব্য, ত্রিপুরায় স্বাস্থ্য প্রকল্পের অধীনে বিপিএলভুক্ত রোগীদের ১.২৫ লক্ষ টাকা চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে৷ তবে একজন রোগী বহিঃরাজ্যে চিকিৎসার জন্য গেলে অপারেশন খরচ ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ন্যূনতম ৫ লক্ষ টাকা গচ্ছা যাচ্ছে৷ সেই হিসেবে ৪৫৯টি অস্ত্রোপচার ত্রিপুরায় সম্ভব হওয়ায় ২২ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা ত্রিপুরাবাসীর সাশ্রয় হয়েছে৷
এদিন তিনি দাবি করেন, ত্রিপুরায় একটি অস্ত্রোপচারে প্রায় ৭৫ হাজার খরচ হবে, এমনটা অনুমান করা হচ্ছে৷ সেই হিসাবে ওই সব রোগীর অস্ত্রোপচারে ৩ কোটি ৪৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে৷ তিনি প্রত্যয়ের সুরে বলেন, আজ ত্রিপুরার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভা বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

