BRAKING NEWS

Unusual deaths of two : শান্তিরবাজার ও মুঙ্গিয়াকামীতে দুইজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি, শান্তিরবাজার/ তেলিয়ামুড়া, ৮ আগস্ট৷৷ শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত বাইখোড়ায় ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছেনিলো এক গৃহবধূ৷ ঘটনার বিবরনে জানাযায় বাইখোড়ার মগপাড়ার বাসিন্দা সাধন দেবনাথের মেয়ে শিপ্রা দেবনাথের ( ২২ ) সাথে গত আনুমানিক ৫ বছরআগে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধহয়ে বিবাহ হয়েছে পশ্চীম চড়কবাই এলাকার বাসিন্দা শুভঙ্কর দেবনাথের ( ২৭ )৷ বিয়ের পর ভালোভাবেই উদের সংসার চলছিলো বলে জানাযায়৷ পরিবারের লোকজনের মতামত ছারাই উদের বিয়ে হয়েছে বলে জানাযায়৷


উদের তিন বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে৷ শুভঙ্কর দেবনাথের স্ত্রী গত কিছুদিন আগে বাপের বাড়ীতে বেড়াতে যায়৷ সেখানে গিয়ে দেখাদেয় বিপত্তি এমনটাই অভিযোগ৷ এই নিয়ে শুভঙ্কর দেবনাথ সংবাদমাধ্যমের সন্মুখিন হয়ে জানায় উর সহধর্মীনি বাপের বাড়ীতে বেরাতেগিয়ে গত শুক্রবার ঘুমের টেবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকরে৷ ঘটনার পরবর্তীসময় শিপ্রা দেবনাথকে পরিবারের লোকজনেরা চিকিৎসারজন্য বাইখোরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়েযায়৷ সেখানথেকে চিকিৎসারপর শনিবার শিপ্রা দেবনাথকে মগ পাড়ায় উর বাপের বাড়ীতে নিয়েগেলে শনিবার রাতে পুনরায় ঘুমের টেবলেট খেয়েফেলে শিপ্রা দেবনাথ এমনটাই অভিযোগ৷ পরবর্তী সময় শনিবার রাত্রিবেলায় শিপ্রা দেবনাথকে বাইখোড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়েগেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিপ্রা দেবনাথকে মৃতবলে ঘোষনা করে৷ বাপের বাড়ীতে গিয়ে আত্মহত্যার বিষয় নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ণচিহ্ণ৷ শিপ্রা দেবনাথের অকালপ্রয়ানে সমগ্র এলাকাজুরে শোকের ছায়া নেমেএসেছে৷


এদিকে, ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির ফাঁসিতে আত্নঘাতী৷ আত্নঘাতী সেই ব্যক্তির নাম ইন্দ্রজিৎ সিংহ রায়৷আত্নঘাতী ৪৬ বছর বয়সী সেই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল স্বাস্থ্যকর্মীদের সরকারী আবাসন এর একটি পক্ষ থেকে৷ আত্নঘাতী ঘটনা ঘটে তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়াকামী থানাধীন মুঙ্গিয়াকামি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার আবাসনে কমপ্লেক্সে৷ বাড়ি আগরতলার শিবনগর এলাকায়৷


মুঙ্গীয়াকামী থানার পুলিশ খবর দিয়ে জানায় রবিবার সাতসকালে মুঙ্গিয়াকামী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোয়াটার কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্যকর্মীর বড়ো ভাইয়ের মৃত দেহ উদ্ধার হয়৷ উদ্ধারকৃত মৃত ব্যাক্তির নাম ইন্দ্রজিৎ সিংহ রায়(৪৬), বাড়ি আগরতলা বলে জানা যায়৷ বিগত কয়েকদিন পূর্বে তার ভাই তথা মুঙ্গিয়াকামি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী প্রসেনজিৎ সিংহ রায়ের আবাসনে৷ পুলিশ জানায় সে মানসিকভাবে অস্বাভাবিক ছিল৷ শনিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়ে পড়ে৷ আজ সকালে তার ভাই দেখতে পায় তার ঝুলন্ত মৃতদেহ৷ খবর দেওয়া হয় মুরাকামি থানার পুলিশকে৷ মুঙ্গিয়াকামি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ ময়না তদন্তের পর ইন্দ্রজিৎ সিংহ রায়ের মৃতদেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ মুঙ্গিয়াকামি থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *