BRAKING NEWS

Irrigation Scheme will play an important role : কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৫ অগাস্ট।। রাজ্যের ক’ষকদের আয় ২০২২ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার যে সমস্ত কর্মসূচি সাফল্যের সাথে রূপায়ণ করেছে তা প্রচারের আলোয় নিয়ে আসতে হবে৷ তবেই ক’ষক কল্যাণে সরকার যে দ’ষ্টিভঙ্গী নিয়ে কাজ করছে তা রাজ্যের জনগণের নিকট পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব অভিমত ব্যক্ত করেছেন৷ আজ সচিবালয়ের ২নং সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী ক’ষি সি’াই যোজনা-ওয়াটারশেড ডেভেলপমেন্ট কম্পোনেন্টের বিভিন্ন কর্মসূচির পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী এই অভিমত ব্যক্ত করেন৷

পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক’ষি সি’াই যোজনা-ওয়াটারশেড ডেভেলপমেন্ট কম্পোনেন্টের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ক্ষুদ্র জল বিভাজিকা তৈরি করার ফলে কতজন ক’ষক উপক’ত হয়েছেন এবং ক’ষি উৎপাদন বেড়েছে কিনা তা দপ্তরকে পর্যালোচনা করে দেখতে হবে৷ এই প্রকল্প শুরুর পূর্বে এবং প্রকল্পের রূপায়ণের পর বর্তমানে ক’ষকদের আর্থিক অবস্থা কেমন উন্নত হয়েছে এবং পূর্বের তুলনায় উৎপাদন বেড়েছে কিনা তা তুলনামুলক বিশ্লেষন করে এর সাফল্যের দিকগুলি ক’ষকদের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন৷ পাশাপাশি এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক’ষক কল্যাণে আগামীতে কি পরিকল্পনা রয়েছে সে বিষয়গুলিও রাজ্যের ক’ষকদের সামনে তুলে ধরতে হবে৷ পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে ক’ষকদের আয় দ্বিগুণ করার ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরাকে দেশের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করতে হবে দপ্তরকে৷ এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ক’ষি সি’াই যোজনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে৷ তিনি বলেন, ক’ষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে ক’ষকদের কাছ থেকে ন্যনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়, প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী ক’ষক সম্মান নিধি প্রকল্পে ক’ষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ইত্যাদি প্রকল্পগুলি রাজ্যব্যাপী প্রচারে নিয়ে যেতে হবে৷


পর্যালোচনা সভায় ক’ষি দপ্তরের সচিব সি কে জমাতিয়া জানান, প্রধানমন্ত্রী ক’ষি সি’াই যোজনার ওয়াটারশেড ডেভেলপনেন্ট কম্পোনেন্ট রূপায়ণে ক’ষি ও ক’ষক কল্যাণ দপ্তর একটি স্টেট লেভেল নোডাল এজেন্সি নির্বাচন করেছে৷ প্রধানমন্ত্রী কষি সি’াই যোজনা-ওয়াটারশেড কম্পোনেন্ট রূপায়ণের মূল উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন জলাশয়ের স’ষ্টি, সেচের সম্ভাবনা ব’দ্ধির জন্য ভূগর্ভস্থ জলের রিচার্জ কাঠামো স’ষ্টি করা, জমির উৎপাদনশীলতা ব’দ্ধি, মাটির ক্ষয়রোধ এবং মাটির আর্দ্রতা ব’দ্ধি এবং গ্রামীণ কর্মসংস্থান স’ষ্টি করা৷ প্রধানমন্ত্রী ক’ষি সি’াই প্রকল্প শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫টি প্রকল্পে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৬৮ হেক্টর জমিকে সেচের আওতায় আনার জন্য চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ এরমধ্যে এখন পর্যন্ত ৩১টি প্রকল্পে ২ লক্ষ ১৩ হাজার হেক্টর জমিকে সেচের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে৷


তিনি জানান, ২০১৮-১৯,২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ এই তিন অর্থবর্ষে মোট ১১৮৮ টি নতুন ওয়াটার হার্ভেস্টিং স্ট্রাকচার নির্মাণ করা হয়েছে এবং ৪৫১টি ওয়াটার হার্ভেস্টিং স্ট্রাকচারের সংস্কার করা হয়েছে৷ এই প্রকল্পে ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১ এই তিন অর্থবর্ষে মোট ১০১৯ হেক্টর এলাকায় উদ্যান শস্য এবং বাঁশ প্ল্যানটেনশন করা হয়েছে৷ এই তিন অর্থবর্ষে ৪৪৪টি স্ব-সহায়ক দলকে শূকর পালন, পোলট্রি এবং ছাগল পালনের জন্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে৷ এছাড়াও ১১৩৪ জন সম্পত্তিহীন ব্যক্তিকে প্রোডাকশন সিস্টেম এণ্ড মাইক্রোএন্টারপ্রাইস প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে৷ তিনি জানান, ২০২১-২২, ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ এই তিন অর্থবর্ষে ১১৫টি মাইক্রো ওয়াটার শেড তৈরী করার পরিকল্পনা নিয়েছে দপ্তর৷ এরফলে ১ লক্ষ ২০ হাজার হেক্টর জমিকে সেচের আওতায় আনা সম্ভব হবে৷ প্রধানমন্ত্রী ক’ষি সি’াই যোজনার ওয়াটারসেড ডেভেলপনেন্ট কম্পোমেন্টে এছাড়াও বাঁধ নির্মাণ, পুকুর খনন, সেচ খাল নির্মাণ, স্প্ল্যইচ গেট নির্মাণ, আনারস ও ড্রাগন ফলের চাষ,জল শক্তি অভিযান ইত্যাদি কর্মসূচিগুলি দপ্তর রূপায়ন করছে৷ পর্যালোচলা সভায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও পরিবহন দপ্তরের প্রধান সচিব শ্রীরাম তরণিকান্তি, পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, পরিকল্পনা ও সমন্বয় দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়,অর্থ দপ্তরের সচিব বিজেশ পাণ্ডে, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *