BRAKING NEWS

কদমতলার তারকপুর পঞ্চায়েতে ঘুঘুর বাসা, বিভিন্ন প্রকল্পে প্রচুর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ২৩ জুন৷৷ দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে কংগ্রেস শাসিত একটি পঞ্চায়েত৷ বাধ্য হয়ে একগুচ্ছ অভিযোগে সোচ্চার স্থানীয় জনগণ৷রেগার টাকা সহ করোনা আক্রান্তদের সাহায্যার্থের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ স্থানীয় পঞ্চায়েত সচিব, জিআরএস, প্রধান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে৷ হুঙ্কার বৃহত্তর আন্দোলনের৷ ঘটনা উত্তরের কদমতলা ব্লকাধীন তারকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে৷


ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকাধীন তারকপুর পঞ্চায়েতটি কংগ্রেস দলের পরিচালিত৷আর তারকপুর পঞ্চায়েতে বিগত ২০২০-২০২১ অর্থ বৎসর এবং চলতি ২০২১-২০২২ অর্থ বৎসরে রেগার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ঘটেছে৷সাথে শ্রমিকদের রেগার মজুরি আত্মসাতের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে৷তাছাড়া চলতি বছরের করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সাহায্যার্থে সরকার থেকে যে অর্থ রাশি তারকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মঞ্জুর হয়েছে তাও গিলে খাবার মতো অভিযোগ সানীয় গ্রাম বাসীদের৷ স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সচিব পল্লব চক্রবর্তী, জিআরএস শেখর দাস সানীয় প্রধান দিপালী পাল এবং ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার অমিত দে কে সাথে নিয়ে পাহাড় সমান দুর্নীতি গড়ে তুলেছেন৷ শ্রমিকদের ন্যায্য রেগার শ্রমদিবস থেকে শুরু করে করোনা আক্রান্তদের সাহায্যের টাকা গিলে খাচ্ছেন সচিব,জিআরএস ও প্রধান মেম্বার৷

করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে সাবান সেনিটাইজার মাস্ক সহ নানা সামগ্রী দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকার যে অর্থ রাশি প্রতিটি পঞ্চায়েতে দিয়েছে তা বিন্দুমাত্র তারকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে খরচ করা হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ৷স্থানীয় শ্রমিকরা আরো অভিযোগ করে বলেন,তারক পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নং ওয়ার্ডের মাঠ লেভেলিং অফ প্রিয়তোষ পাল, মাঠ লেভেলিং অফ দেবাশীষ দে,১ নং ওয়ার্ডের মাট লেভেলিং অফ নীরেন্দ্র দাস তথা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং ৬ নং ওয়ার্ডের মাঠ লেভেলিং অফ বিল্লাল উদ্দিন নামের এই চারটি মাঠ লেভেলিং এর নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ৷ তাছাড়া অন্যান্য রেগার কাজে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি কমিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান মেম্বার সহ কংগ্রেসের চুনোপুঁটি নেতাদের নামে শ্রমদিবস এন্িন্ট করে বিনা পরিশ্রমে মজুরি পাচ্ছেন৷ অনেক ক্ষেত্রে শ্রমিকরা রেগার কাজ করেও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে৷অবশেষে সকল ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে আজ সানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের জনগন করোনা বিধি মেনে তারকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সচিব ও জিআরএস এর নিকট বিভিন্ন কাজের শ্রমদিবস, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি সহ করোনা আক্রান্তের সাহায্যের টাকা কোথায় গেল তা জানতে চান৷


উভয়েই আমতা আমতা করে বলেন, সানীয়দের অভিযোগ গুলি খতিয়ে দেখা হবে৷ তাছাড়া পঞ্চায়েত সচিব পল্লব চক্রবর্তী জানান, গোটা পঞ্চায়েত এলাকায় করোনা আক্রান্তদের জন্য প্রায় ৫৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে প্রায় ৮ হাজারের অধিক টাকা খরচ হয়েছে৷বাকি টাকাগুলো পিডিএফ ফান্ডে রয়েছে৷ স্থানীয়দের দাবি করোনা আক্রান্তের নামে কোন টাকা খরচ হয়নি৷তাই পঞ্চায়েত সচিবের এমন মনগড়া গল্প মানতে নারাজ জনগণ৷ স্থানীয়রা তীব্র ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি সহ বিভিন্ন মাঠ লেভেলিং এর নামে যে টাকা আত্মসাৎ করেছে তার সুষ্ঠু তদন্তক্রমে সংশ্লিষ্ট দপ্তর হস্তক্ষেপ গ্রহণ না করে,তাহলে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবে স্থানীয় জনগণ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *