BRAKING NEWS

মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীকে নারদ মামলায় পক্ষ বানানো হল

কলকাতা, ২৭ মে (হি. স.) : নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীকে পক্ষ বানানো হল। এর জন্য বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে মৌখিক আর্জি জানায় সিবিআই। ওই সংস্থার তরফে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, অভিযুক্তরা নিজেদের কথা বলবেন। রাজ্যকেও তার বক্তব্য রাখতে হবে।

কলকাতা হাইকোর্টের ৫ নেতা মন্ত্রীর বৃহত্তর বেঞ্চে বৃহস্পতিবার ফিরহাদ, সুব্রত, মদন, শোভনদের জামিন মামলার শুনানি শুরু হয়। বেঞ্চে আছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি সৌমেন সেন পাঁচ জন।

তুষার মেহতার আর্জি নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলেন কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। ১ মিনিটের বিরতি নেন আলোচনার জন্য। বিরতি চলাকালীন অন্য আইনজীবীরা ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জানতে চান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে।

এরপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জানান এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে যুক্ত করা হয়েছে। এডভোকেট জেনারেল বললেন, মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য আদেশ পেয়েছেন।এর আগে অভিযুক্ত ৪ নেতা মন্ত্রীকেই গৃহবন্দি করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাই কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন ফিরহাদদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।

নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত ৪ নেতা-মন্ত্রীকে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছ কলকাতা হাই কোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি বিনীত সরণ ও বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চে শুনানি হয়। কিন্তু বিচারপতিরা স্পষ্ট করে দেন, কলকাতা হাই কোর্টে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ফিরহাদদের জামিন নিয়ে যে শুনানি চলছে, তার মধ্যে তাঁরা নাক গলাতে চান না। বিচারপতিরা জানিয়ে দেন, সিবিআই মামলা প্রত্যাহার করে হাই কোর্টে গিয়েই যা বলার বলুক।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জন্য বুধ ও বৃহস্পতিবার আদালতের সমস্ত কার্যপ্রণালী বন্ধ রাখার কথা ছিল। কলকাতায় ইয়াসের তেমন প্রভাব না পড়ায় বৃহস্পতিবারই মামলাটির শুনানি হবে বলে জানানো হয়। আইনজীবীদের একাংশের ধারণা, বৃহস্পতিবারেই ওই বেঞ্চ জামিন মামলার রায় শোনাতে পারে।

৪ নেতা-মন্ত্রীর পক্ষে আদালতে সওয়াল করবেন কংগ্রেসের মুখপাত্র এবং রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের তরফে রয়েছেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *