BRAKING NEWS

করোনা রুখতে ৫১ কোটি মানুষের সম্পূর্ণ টিকাকরণের পরামর্শ দেবী শেট্টির

নয়াদিল্লি, ১৬ মে (হি.স.): বিপুল জন সংখ্যার দেশ ভারতকে করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের মত আর্থিক ক্ষতি থেকে দূরে থাকতে হলে এখন প্রধান লক্ষ্য হতে হবে অন্তত দেশের ৫১ কোটি মানুষের সম্পূর্ণ টিকাকরণ । এমনটাই মনে করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেট্টি । তাঁর মতে, জনসংখ্যার ৫১ কোটির টিকাকরণ সম্পূর্ণ হলেই অতিমারিকে ঠেকানো সম্ভব। তবে তার জন্যা পকেট হালকা করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।

দেবী শেট্টির বক্তব্য, ‘‘বুঝতে হবে ভারত বিশাল জনসংহাখ্যার দেশ। কিন্তু প্রয়োজনীয় সম্পদ রয়েছে আমাদের কাছে। একদিন লকডাউন করলেই ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি সইতে হয় আমাদের। টিকাকরণে জোর দিলে ক্ষতির মুখে পড়তেই হবে না।’’

দেবী শেট্টির যুক্তি, “১৮-র কম বয়সিরা এখনও পর্যন্ত টিকাকরণের বাইরেই রয়েছে। তাই টিকাকরণের পরিকল্পনায় মোট জনসংখ্যা থেকে আপাতত তাদের বাদ রাখা যেতে পারে। একটি করে টিকা পেয়েছেন যাঁরা, তাঁদের ধরলেও, ইতিমধ্যে ১৩ কোটি মানুষ টিকা পেয়েছেন। সে ক্ষেত্রে আপাতত ৫১ কোটি মানুষের সম্পূর্ণ টিকাকরণের লক্ষ্য নিয়ে নামতে হবে।’’

  দেশে মোট সংক্রমণ আড়াই কোটি ছুঁইছুঁই হলেও টিকা নিয়ে গবেষণা এবং টিকা উৎপাদনে কোনও টাকাই বরাদ্দ করা হয়নি বলে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু অতিমারি রুখতে হলে সরকারকে টাকা খরচ করতেই হবে বলে মত দেবী শেট্টির।  তাঁর পরামর্শ, “৫১ কোটি মানুষকে দু’টি টিকা দিতে সবমিলিয়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ পড়বে। অগ্রিম ১০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে টিকা উৎপাদনকারী কোনও সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করাই যায়। তা হলে টিকা উৎপাদনে আরও জোর দেবে তারা। ভারতের মতো দেশ, যার বার্ষিক গড় উৎপাদন ২০০ লক্ষ কোটি টাকা, সেখানে ৭০ হাজার কোটি টাকা কোনও ব্যাপারই নয়।’’

দেবী শেট্টির মতে, পরীক্ষায় সফল যে কোনও টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গেই এই চুক্তি করা যায়। তাদের সঙ্গে দরদামও করতে পারে সরকার। সে ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে ৫১ কোটি মানুষের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়া সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *