BRAKING NEWS

অসমে কোভিড মোকাবিলায় নানা বাধ্যবাধকতা সহ বলবৎ নয়া নীতি-নিৰ্দেশিকা

গুয়াহাটি, ২০ এপ্রিল (হি.স.) : অতিমারি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় নানা বাধ্যবাধকতা সহ অসমে বলবৎ করা হয়েছে নয়া নীতি-নিৰ্দেশিকা বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজিওর (এসওপি)। নতুন কোভিড নীতি-নিৰ্দেশনা আগামী ৩০ এপ্ৰিল পৰ্যন্ত কঠোরভাবে বলবৎ করা হয়েছে, জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচি জিষ্ণু বরুয়া। সে অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী দশদিন প্রতিদিন সন্ধ্যা ঠিক ৬.০০টায় ওষুধের দোকান এবং জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ করতে হবে সবধরনের বাজার, সুপার মাৰ্কেট, শপিংমল, সাপ্তাহিক হাট ইত্যাদি। আজ দিশপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্যসচিব জিঞ্চু বরুয়া সরকারিভাবে এই সব নীতি-নির্দেশিকার তথ্য দিয়েছেন।

রাজ্যের পুলিশ প্রধান ভাস্করজ্যোতি মহন্তকে পাশে নিয়ে মুখ্যসচিব জিঞ্চু বরুয়া নয়া কোভিড-বিধি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করতে গিয়ে জানান, মাত্ৰ ৫০ শতাংশ কৰ্মচারী নিয়ে সরকারি এবং বেরসরকারি কাৰ্যালয়গুলি চালাতে হবে। কেবল তা-ই নয়, সম্পূৰ্ণরূপে সেনিটাইজ করতে হবে সব কৰ্মস্থল তথা কাৰ্যালয় ইত্যাদি। কৰ্মচারীদেরও সেনিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, কোভিড-বিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেরঅধীনে মামলা রুজু করা হবে। সঙ্গে এ-ও বলেন, যারা মুখে মাস্ক পরিধান করবেন না তাদের ১,০০০ টাকা করে জরিমানা ভরতে হবে।

এছাড়া আরও কিছু বিধি-নিষেধ সম্পর্কে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। বলেন, প্ৰশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে যে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে। তবে সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে ৫০ শতাংশ অথবা সৰ্বোচ্চ ৪০০ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তাছাড়া বিবাহাদি সহ অন্যান্য ঘরুয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন মাত্ৰ ১০০ জন। এভাবে মৃতের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে ২০ জনের বেশি মানুষ জমায়েত হবে পারবেন না। মুখ্যসচিব জানান, কাৰ্যালয়গুলির কাজকর্ম ঘর থেকে সম্পাদন করার ওপর গুরুত্ব দিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্তাদের বলা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা কৰ্মচারী অথবা বাড়িতে ৫ বছর অনূর্ধ্ব শিশু আছে এমন মায়েদের নিজের ঘর থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে।

এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও মাত্ৰ ৫০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উপস্থিত থাকবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্পন্ন অনলাইন শিক্ষা প্ৰদানের ব্যবস্থা রাখাকে বাধ্যতামূলক করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যালয়গুলিতে প্রভাতী প্ৰাৰ্থনা সভা সহ শিক্ষাৰ্থীদের সমবেত হতে হয় এ ধরনের সব কাৰ্যসূচি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ধৰ্মীয় স্থান অথবা উৎসবাদিতে প্রতি ঘণ্টায় ২০ জন করে লোক উপস্থিত থাকতে পারবেন। অবশ্য তীৰ্থস্থানগুলিতে ঘণ্টায় প্ৰতি ৫০ জন করে ব্যক্তি উপস্থিত থাকিব পারবেন, জানান মুখ্যসচিব।

অন্যদিকে অটোরিকশা, ওলা, উবের বা অন্যান্য যানবাহনে চালক সহ তিনজন যাত্ৰী চলাচল করতে পারবেন বলে জানান তিনি। এছাড়া সিটিবাস, আন্তঃজেলা ও আন্তঃরাজ্য বাসগুলি ৫০ শতাংশ যাত্ৰী নিয়ে পরিবহণ করতে পারবে। মুখ্যসচিব আরও জানান, এভাবে প্রক্শ্য স্থানে মাস্ক পরিধান এবং একটি দোকানে একই সময় পাঁচ জন ক্রেতা সমবেত হতে পারলেও ৬ ফুট দূরূত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেলুন, পাৰ্লারগুলি খোলা থাকলেও কোভিড-এর নিয়ম-নীতি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

বরুয়া জানান, গতকাল প্রায় ৪০ হাজার নমুনা পরীক্ষার পর একদিনে সর্বোচ্চ ১,৩৬৭ কোভিড-আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত রুখতে সরকার ফের নয়া বিধি বলবৎ করতে বাধ্য হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *