BRAKING NEWS

আনোয়ারা হত্যাকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ দিবসে খুনিদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন সহপাঠীদের

আগরতলা, ৯ এপ্রিল (হি.স.) : রাজ্যের বহুচর্চিত আনোয়ারা চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে সোমবার এক বছর পূর্তি হল। আনোয়ারার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে আন্দোলনরত প্রয়াতার সহপাঠীরা আজও তাঁদের দাবি পূরণের অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে নতুন সরকারের কাছে তাঁদের প্রত্যাশা অনেক।
পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রী আনোয়ারা চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের এক বছর কেটে গেছে। তৎকালীন সরকারকে এই হত্যাকাণ্ডের পর যথেষ্ট সমস্যা সন্মুখিন হতে হয়েছে। দেশ জুড়ে, এমন-কি বিদেশেও এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঝড় উঠে।
কিন্তু তৎকালীন মানিক সরকার পরিচালিত বামফ্রন্ট প্রশাসন কার্যত দোষীদের শান্তিদানের বিষয়ে কাঠোরতম পদক্ষেপই নিতে পারেনি। এতে অসন্তোষ যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়। সরকার বদলের পর আনোয়ারা চৌধুরীর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আনোয়ারার সহপাঠীরা এবং পরবর্তী পর্যায়ে প্রয়াতার পিতাও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের সঙ্গে সাক্ষাত করে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
৯ এপ্রিল ২০১৭ হত্যাকাণ্ডের পর আনোয়ারার দেহ কবরস্থ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আনোয়ারার সহপাঠীরা প্রথমেই এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয় বলে দাবি করেন এবং আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁরা। বাধ্য হয়ে প্রশাসন কবরস্থ দেহ তুলে ময়না তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে দেহ তোলা হয় এবং ময়না তদন্তে মৃতার পাকস্থলীতে বিষের সন্ধান পাওয়া যায়। আর বিষক্রিয়াতেই আনোয়ারার মৃত্যু হয় বলে প্রমাণ হয়ে যায়।
এর পরেই শুরু হয় টানা আন্দোলন। অভিযোগ উঠে আনোয়ারার চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও। চাপের মুখে আনোয়ারার মামা তথা সিপিআইএম নেতা নুর মহম্মদকে গ্রেফতারও করা হয়। যদিও জেল হাজত এবং পুলিশি হেফাজতে থাকার পর অভিযুক্ত জামিনে মুক্তি পায়। এখনও ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে খুবই ধীর গতিতে বলে আনোয়ারার সহপাঠীদের অভিযোগ।
এক্ষেত্রে আনোয়ারার বাবা আবদুল্লা চৌধুরীও তাঁর মেয়ের সিবিআই তদন্ত চেয়ে বারংবার এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের কাছেও দাবি করেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে জানান আনোয়ারার বাবা।
এই অবস্থায় পুনরায় আনোয়ারার বাবা কন্যার মৃত্যুর উপযুক্ত তদন্ত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *